Photo Credits: ANI

নয়াদিল্লি: হিন্দু বিবাহ আইন (Hindu Marriage Act) মতে, অবৈধ সম্পর্ক (Adultery) রাখার অভিযোগে স্ত্রী যদি স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা (Divorce) করেন। আর তার জন্য স্বামীর বিষয়ে কোনও গোপনীয় তথ্য জানতে চান তাহলে তা দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বামীর গোপনীয়তা রক্ষার আইনকে কোনওভাবে ক্ষুন্ন করা হবে না বলেই বুধবার জানালেন দিল্লি হাইকোর্টের  (Delhi High Court) বিচারপতি রেখা পাটিল।

এপ্রসঙ্গে কেএস পুট্টুস্বামী বনাম ভারত সরকারের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তা উল্লেখ করেন বিচারপতি। জানান, গোপনীয়তা রক্ষার আইন সংবিধান স্বীকৃত হলেও হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অধিকার নয়। কারণ হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী বিবাহের পর অবৈধ যৌন সম্পর্ক (Sexual Relationship) রাখা বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হিসেবে প্রযোজ্য হয়। তাই বিয়ের পরও যদি কেউ অবৈধ সম্পর্ক রাখে তাহলে সে সম্পর্ক বিচ্ছেদের বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করতে গোপনীয়তার রক্ষার আইন ভাঙা যায়।

১৯৯৮ সালে বিয়ে হয়েছিল দিল্লির এক দম্পতির। গত বছর স্বামীর বিরুদ্ধে দিল্লির একটি পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন এক মহিলা। তাঁর স্বামী এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িত এবং এর ফলে একটি সন্তানের জন্ম হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য একটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে সামনে পেশ করারও দাবি জানান।

তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সবদিক খতিয়ে দেখে ওই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠায় আদালত। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের আবেদন জানিয়ে ছিলেন ওই মহিলার স্বামীর আইনজীবী। দাবি করেছিলেন, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনলে ওই ব্যক্তির পাশাপাশি ওই হোটেলের অন্য রুমে থাকা তাঁর মহিলা বান্ধবী এবং তাঁর শিশুকন্যার পরিচয় জানাজানি হয়ে যাবে। এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইনের লঙ্ঘন হবে। যদিও তাঁর এই দাবি না মেনেই মহিলার পক্ষে রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট।