নতুন দিল্লি, ৫ ফেব্রুয়ারি: নির্ভয়ার ধর্ষক খুনিরা (Nirbhaya rape and murder convicts) এখনও চূড়ান্ত সাজা পায়নি। চার ধর্ষকের আইনজীবীরা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে ফাঁসি রদের চেষ্টা করে চলেছেন। কখনও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ তো কখনও প্রাণভিক্ষা। কখনও এসব ছাপিয়ে নিজেদের নাবালক প্রমাণের চেষ্টার জন্য প্রাণপাত করা। কিছুই বাদ যাচ্ছে না। গত ২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন ধার্য হওয়ার পরেও তা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। এদিকে বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) জানিয়ে দিল এই চার ধর্ষক খুনি সমস্ত আইনি সাহায্যের জন্য আর এক সপ্তাহ সময় পেতে পারে। তার পরে তাদের আর কোনও আবেদন শোনা হবে না। এই এক সপ্তাহের মধ্যে কোনও আইনি সাহায্য না পেলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
তবে চারজনকে পৃথকভাবে ফাঁসি দেওয়া জন্য কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। চারজন যেহেতু এক অপরাধে অপরাধী এবং একই শাস্তি পেয়েছে, তাই এদের মৃত্যুদণ্ডও একইসঙ্গে কার্যকর করতে হবে। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কাইত বলেছেন, দিল্লি প্রিজন রুল অনুসারে একজনের ক্ষমা ভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত না হলে অন্যদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব নয়। নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার অপরাধীদের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল গত এক ফেব্রুয়ারি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফাঁসি স্থগিত করে আদালত। ট্রায়াল কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লি হাইকোর্ট নির্ভয়ার অপরাধীদের আইনি সাহায্য নিতে আর এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে। এর আগেও একবার ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে যায় নির্ভয়ার চার অপরাধীর। আরও পড়ুন-Prime Minister To Have His Own Tunnel: নিরাপত্তা বড় বালাই, সংসদে যেতে এবার ব্যক্তিগত সুড়ঙ্গ ব্যবহার করবেন নরেন্দ্র মোদি
এর আগে গত রবিবার নির্ভয়া কাণ্ডের ধর্ষক খুনিদের ফাঁসির দিন ঘোষণা করেনি দিল্লি হাইকোর্ট। ফাঁসির স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেখানেও রায়কে রিজার্ভ রাখল কোর্ট। বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইতের সিঙ্গল-জাজের বেঞ্চ এই রায় রিজার্ভ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে বলেন, দণ্ডিতরা আইনের ফাঁককে ইচ্ছাকৃত ভাবে কাজে লাগিয়ে ফাঁসিতে দেরি করছে।’ তাই তিনি বিচারপতির কাছে আবেদন করেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট এই চারজনকে ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিয়েছে, তাই তাঁদের যেন দ্রুত শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। এমনকি দোষীদের আলাদা আলাদা দিনে ফাঁসির দিন ঘোষণা করার আবেদনও করা হয় কেন্দ্রের তরফে।