Odisha CM Mohan Charan Majhi (Photo Credit:X@ANI)

উৎসবের আবহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে। মনে করা হচ্ছে আগামী ২৪ এবং ২৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পুরী এবং সাগর দ্বীপের মধ্যে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ডানা।  ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD), বলেছে যে ঘূর্ণিঝড়টি ২২ থেকে ২৩ তারিখ সকালের মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তারপরে বুধবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাবে। এর গতিবেগ যত বাড়বে তত এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে এবং অবশেষে তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে পুরী এবং সাগর দ্বীপের মধ্যে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করবে।

বিগত বছরগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার ক্ষয়ক্ষতি ও আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি (Odisha CM Mohan Charan Majhi)  রাজ্যের প্রশাসন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় রাজ্যের প্রস্তুতি পর্যালোচনা বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, " ঘূর্ণিঝড়ে যাতে একজনও আহত বা নিহত না হন তা নিশ্চিত করা হবে।তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করার পর ১০০শতাংশ জনগণকে সরিয়ে নেওয়া হবে। এনডিআরএফ, ওডিআরএএফ এবং ফায়ার সার্ভিসের দলগুলি প্রস্তুত আছে।  ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলি সমস্ত মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।বিদ্যুৎ ,জল সরবরাহসহ টেলিফোন ও সড়ক যোগাযোগ যাতে ঘটনার পর দ্রুত পুনরুদ্ধার করা যায় সেই নিয়েও আলোচনা হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ বা অতিরিক্ত চার্জ ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ইতিমধ্যেই কড়া নজরদারি রেখেছে”।