আম্ফান ঘূর্ণিঝড়(Photo credits: IMD)

ওড়িশা, ২০ মে: দিনক্ষণ মেনে ওড়িশায় ঢুকে পড়তে চলেছে আম্ফান ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Amphan)। বুধবার সকালে ভদ্রক, পারাদ্বীপ-সহ ওড়িশার অন্যান্য এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই পারাদ্বীপে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার বেগে বইছে হাওয়া। আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের আগমনে চাঁদিপুর বালাসোরেও চলছে ঝড়বৃষ্টি। দিল্লির মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৬ ঘণ্টা ধরে ১৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে উত্তর-উত্তর পূর্বদিকে এগিয়ে আসছে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়। বর্তমানে তার অবস্থান ১৯ ডিগ্রি ৪৫ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৭ ডিগ্রি ৫২ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমার কাছে। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১২৫ কিলোমিটার, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ২৪০ কিলোমিটার ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আম্ফান।

মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল বৃষ্টি। যত সময় এগোচ্ছে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে। রাতভর বৃষ্টির পরে বুধবার সকালেও তা চলছে। বৃষ্টি বাড়তে থাকায় উপকূল এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আবহাওয়া দপত্র জানিয়েছিল, সারা রাত ঝোড়ো হাওয়া বইবে। মাঝ রাতের পর থেকে ঝড়ের গতিবেগ ক্রমে বেড়ে প্রথমে ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার হবে। তার পর বুধবার সকাল থেকে আরও তীব্র গতিতে ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বয়ে যাবে দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া ও কলকাতায়। আরও পড়ুন-Cyclone Amphan Update: ‘লেভেল ৫’-স্তরে এক্সট্রিম সিভিয়ার সাইক্লোন আমফান, তৎপর রাজ্য প্রশাসন

বুধবার দুপুরের পর যখন তা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগরের কাছে আছড়ে পড়বে তখন হাওয়ার গতি বেড়ে দাঁড়াবে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। তার পর তা আরও বেড়ে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে সজোরে ধাক্কা মারতে পারে। মূলত দুই চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল অঞ্চল সহ গোটা জেলাতেই ঝড়ের তীব্রতা থাকতে পারে এমনই। তা রাত পর্যন্ত চলবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যে এসেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৯টি দল। এর মধ্যে ৬টি দলকে পাঠানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পগরণায়। চারটি দল গেছে পূর্ব মেদিনীপুরে এবং কলকাতাতেও রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চারটি দল। উত্তর ২৪ পরগনায় তিনটি হাওড়া হুগলিতে ১টি করে দল নিযুক্ত করা হয়েছে।