
দিল্লি, ২৪ এপ্রিল: সিন্ধু নদীর জল চুক্তি স্থগিত (Indus Treaty) করা হচ্ছে। পহেলগামে নারকীয় (Pahalgam Terrorist Attack) হামলার পর বুধবার দিল্লিতে যে উচ্চ পর্যায়ের সিসিএস বৈঠক বসে, সেখানে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হলে কতটা বিপদে পড়তে পারে পাকিস্তান, তা নিয়ে চিন্তায় ইসলামাবাদ। ফলে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল হলে তা দুই দেশের মধ্যে 'যুদ্ধ' শুরু বলেই মনে করা হবে। এমনই জানান পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের শেহবাজ শরিফ সরকারের তরফে বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যয়াের বৈঠকে বসা হয়। সেখানেই ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত নিয়ে ভারতের সমালোচনা করে, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হয়। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ভারতের বিমানের জন্য নিজেদের আকাশ পথ বন্ধ করেছে বলে জানায়। কোনও ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের আকাশ পথে ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানানো হয়। ফলে দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে পহেলগাম হামলার পর, তা কার্যত স্পষ্ট।
এই সেই সিন্ধু নদ যার জল চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত...
भारत की तरफ से सिंधु जल समझौता रद्द करने के फैसले को पाकिस्तान ने " ACT OF WAR" कहा है. पाकिस्तान का कहना है कि अगर उनका पानी रोका गया तो पाकिस्तान उसे युद्ध का आगाज मानेगा.
भारत में तैयारियां तेज़ हैं. इस बार कुछ बड़ा होगा. जो होगा कड़ा होगा.#Pakistan… pic.twitter.com/mUXsstDXd6
— Bharat Suraj (@bharatsuraj01) April 24, 2025
এদিকে সিন্ধু নদের উপর নির্ভর করে পাকিস্তানের সিংহভাগ কৃষি কাজ যেমন সম্পন্ন হয়, তেমনি সে দেশের মানুষের তৃষ্ণা নিবারণও হয়। ফলে সিন্ধু নদের অববাহিকায় বাধ দিয়ে ভারত যদি কোনওভাবে এই নদীর জল আটকায়, তাহলে তা পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সিন্ধু চুক্তি অনুযায়ী, এই তিব্বতে উৎপন্ন এই নদী ভারতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হলেও, তার জলের উপর পাকিস্তানের অধিকারই বেশি। ভারতের আংশিক অধিকার রয়েছে (শতদ্রু, বিয়াস এবং রবির অধিকার পুরোপুরি ভারতের)। ফলে তিব্বতে উৎপন্ন সিন্ধু নদীর গতিপথ ভারত রুদ্ধ করলে, তার প্রভাব কতটা পড়বে পাকিস্তানে, যা নিয়ে সন্ধিগ্ধ ইসলামাবাদ।