Protest in Indian high commission at islamabad (Photo credit: X@ghulamabbasshah)

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের সাম্প্রতিক কার্যকলাপের জন্য গতকাল (২৪শে এপ্রিল, ২০২৫) ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশন অফিসের বাইরে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ওই বিক্ষোভে সামিল ছিল স্থানীয় রাজনৈতিক দল এবং হুরিয়ত সংগঠনের সদস্যরা।একদল  বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড টপকে ভারতীয় হাই কমিশনে প্রবেশের চেষ্টা করে, অন্যরা ভবনের দিকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে ওই অঞ্চলে। বিক্ষোভ  এড়াতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অধিক পরিমাণে নিরাপত্তা বাহিনী নামানো হয়।নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের  এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলে হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ আরও পুলিশ কর্মী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। বিক্ষোভ চলাকালীন ভারত-বিরোধী স্লোগান দিতেও দেখা যায়।

সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি

ক্রমবর্ধমান সামরিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনা ইতিমধ্যেই সীমান্তের উভয় পাশে যথেষ্ট অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানের বর্তমান সরকার ভারতের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তানের জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলি ভারতের "আক্রমণাত্মক" অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সুযোগ নিয়েছে। পহেলগামে একটি জনবহুল পর্যটন কেন্দ্রে বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা‍য় ভারত সরকারের এই পদক্ষেপকে অযৌক্তিক বলে মনে করে পাকিস্তানিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভকারীদের বিশাল ভিড়ের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করতে দেখা গেছে । এমনকি তাঁদের ভারতের নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। বলা যেতে পারে পহেলগাম হামলার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়ায় ক্রমবর্ধমান হতাশা এবং ক্ষোভের চিত্র ফুটে উঠেছে প্রকাশিত ছবিতে।

দেখুন বিক্ষোভের ছবি-

পহেলগামে জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত। পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা না দেওয়া, ভারতে থাকা পাকিস্তানের নাগরিকদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত পাঠানো, সিন্ধু জল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানো-সহ একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। আর তারই বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মাটিতে  ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হলো।

ভারতীয় হাই কমিশন এখনও পর্যন্ত এই প্রতিবাদের বিষয়ে নীরব রয়েছে, তবে কূটনৈতিক স্তরে এই ঘটনা যে প্রভাব ফেলবে তা বলা যেতে পারে।  জঙ্গি হামলার পরে উভয় দেশ আরও সংঘর্ষের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি গভীরভাবে এই অবস্থার পর্যবেক্ষণ করছে।

তবে এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সঙ্গে ইসলামাবাদ এবং সীমান্তের ওপারে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল রয়ে গেছে, ভবিষ্যতে বিক্ষোভ এবং আরও খারাপ কূটনৈতিক পরিণতির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।