নতুন দিল্লি, ৩১ আগস্ট: কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত কিংবদন্তী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শিবরামাকৃষ্ণা আইয়ার পদ্মাবতী (Dr Sivaramakrishna Iyer Padmavati)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে ডাক্তার পদ্মাবতীই দেশে প্রথম কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট চালু করেন দিল্লির গোবিন্দ বল্লভ পন্ত হাসপাতালে। ১১ দিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এই কিংবদন্তী চিকিৎসক। তড়িঘড়ি তাঁকে দিল্লির ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়, যে হাসপাতালটি ১৯৮১ সালে তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন এই প্রথিতযশা চিকিৎসক। আদতে মায়ানমারের বাসিন্দা ডক্তার পদ্মাবতী।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান যখন বার্মা আক্রমণ করছে, তখন প্রাণে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে আসেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে দেশের প্রথম মহিলা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠলেন ডাক্তার শিবরামাকৃষ্ণা আইয়ার পদ্মাবতী। তাঁর কৃতিত্বের জন্য ১৯৯২ সালে ডাক্তার পদ্মাবতী দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন। ১৯৭০ সাল নাগাদ ডাক্তার পদ্মাবতী নিজের পেশাগত জগতে একেবারে সবথেকে বেশি কর্মমুখর ছিলেন। সেই সময় একসঙ্গে তিনটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রশাসক ছিলেন। এগুলি হল যথাক্রমে মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ, লোক নায়ক হাসপাতাল, জিবি পন্ত হাসপাতাল। এভাবে একই সঙ্গে তিনটি নামী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদে তাঁর আগে বা পরে কেউই বসেননি। আরও পড়ুন-India’s COVID-19 Recovery Rate: ভারতে করোনাভাইরাসে সুস্থতার হার বেড়ে ৭৬.৬১ শতাংশ, একদিনে সুস্থ ৬৪,৯৩৫জন
ডাক্তার শিবরামাকৃষ্ণা আইয়ার পদ্মাবতী সাধারণত হৃদরোগের চিকিৎসার গডমাদার হিসেবেই সর্বজন পরিচিত। বাতজনিত হৃদরোগের ব্যাপক গবেষণার জন্যও চিকিৎসা জগতে একটা সুরিচিত নাম ডাক্তার শিবরামাকৃষ্ণা আইয়ার পদ্মাবতী। এই বাতজনিত হৃদরোগ হৃৎপিণ্ডের ভালভকে পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়।