নতুন দিল্লি, ১৭ জুলাই: করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় (COVID-19 Cases In India) শুক্রবার ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেল ভারত। একদেন আক্রান্ত প্রায় ৩৫ হাজার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৩ হাজার ৮৩২। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৮৭ জনের। এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫৭ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজার ৬০২। দেশের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে করোনা বিধ্বস্ত রাজ্যটি হল মহারাষ্ট্র। যেখানে মোট করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৮১ জন। মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ১৯৪ জন। ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৬৯ জন করোনা আক্রান্তকে নিয়ে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু।
তৃতীয় স্থানে থাকা রাজধানীতে মোট করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৪৫ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের ট্র্যাকার অনুযায়ী বিশ্বে এই মুহূর্তে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩. ৮ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। সেখানে মৃত্যু মিছিলে শামিল ৫ লক্ষ ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪০০ জন। এই মুহূর্তে আমেরিকা (US), ব্রাজিলের (Brazil) পর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত (india)। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০,০০০-রও বেশি আক্রান্তের পর মোট সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২৫,৬০৯। আক্রান্তের নিরিখে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকি খানিকটা কমেছে। কিন্তু বিপদ তবুও তুঙ্গে। আগামী দু'মাস বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা। আরও পড়ুন-Mumbai Building Collapse Update: মুম্বইতে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬, জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ
#COVID19 cases cross the 10 lakh mark in India with the highest single-day spike of 34,956 cases, and 687 deaths. Total positive cases stand at 10,03,832 including 3,42,473 active cases, 6,35,757 cured/discharged/migrated and 25,602 deaths: Ministry of Health and Family Welfare pic.twitter.com/zSRgtW5iAy
— ANI (@ANI) July 17, 2020
চরম করোনা বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৬৯০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। মোট মৃত্যু ১০২৩ জন। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ হাজার ১১৭। এখন চিকিৎসা চলছে ১৩ হাজার ৬৭৯ জনের। রাজ্য়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার ৪১৫ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৫৯.২৯ শতাংশ। আজ স্বাস্থ্য দপ্তরের (State Health Department) বুলেটিনে এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এখানেও সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।