Photo Credit_Twitter

১৯৪৭ সালে মহারাজা রামানুজ প্রতাপ সিং দেও চিতা প্রজাতির শেষ সন্তানকে গুলি করে মেরে ফেলার পর ১৯৫২ সালে এশিয়াটিক চিতাকে ভারতে বিলুপ্ত প্রাণী হিসাবে  ঘোষণা করা হয়েছিল।সেই এশিয়াটিক চিতার প্রত্যাবর্তন হচ্ছে ৭০ বছর পর।নামিবিয়া থেকে ৮ টি চিতাকে ভারতে এনে ছাড়া হবে ১৭ সেপ্টেম্বর, এবং এই বিশেষ দিনটি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন।

 আটটি চিতাকে নামিবিয়া থেকে নিয়ে আসার  জন্য ইতিমধ্যেই একটি বি৭৪৭ (B747) জাম্বো জেট  বৃহস্পতিবার নামিবিয়ায় অবতরণ করেছে । এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম আন্তঃমহাদেশীয় স্থানান্তর  প্রকল্প এটি। তবে এই জাম্বো জেট এর বিশেষত্ব হচ্ছে  বি৭৪৭ (B747)জাম্বো জেটটি  একটি বাঘের মুখ দিয়ে আঁকা হয়েছে।  এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে চিতাগুলিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য  বিমানটিকে বিশেষভাবে কাস্টমাইজ করা হয়েছে। বিমানের মধ্যেই  বিশেষ খাঁচা লাগানো হয়েছে । যা এই চিতা স্থানান্তর প্রকল্পে সহায়তাকারী পশুচিকিত্সা কর্মীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করবে।

বিমানটি ফিরে আসার পরে জয়পুরে অবতরণ করবে এবং তারপরে চিতাগুলিকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার জন্মদিনে জাতীয় উদ্যানে চিতাদের প্রবেশের শুভ সূচনা করবেন। 

গত প্রায় একটি দশক ধরে দীর্ঘ এই  প্রকল্প বেশ কয়েকবার সফল হতে হতেও পিছিয়ে গেছে। ২০০৯ সালে প্রথমে এটি ভাবা হয়েছিল। তারপর ২০২০ সালে  নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় উদ্যানে এই চিতা ফিরিয়ে আনার প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে কোভিড (COVID-19) মহামারী এবং ধারাবাহিক লকডাউনের কারণে প্রকল্পটি দেরি হয়েছিল। , বন দফতরের কর্মকর্তারা মধ্যপ্রদেশের কুন্নো ন্যাশনাল পার্কটিকে চিতাদের জন্য ভাল শিকারের জন্য সর্বোত্তম স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন।কারণ পার্কটিতে চিঙ্কারা, হরিণ এবং কৃষ্ণসার হরিণের সংখ্যার আধিক্য আছে, যার ফলে চিতা শিকার করতে পারবে এবং বন্য অঞ্চলে বেড়ে উঠতেও পারবে।