বরিস জনসন (Photo Credits: Facebook)

লন্ডন, ১৬ মার্চ: মহামারী করোনা কেড়েছে একটা গোটা বছর। এখনও কোভিড কাঁটা থেকে বিশ্ববাসীর রেহাই মেলেনি। যেখানেই করোনার নতুন স্ট্রেন বাসা বেঁধেছে, সেই জায়গাতেই সতর্কতার প্রথম ধাপ হিসেবে লকডাউন জারি হয়েছে। এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ব্রিটেন। করোনার জেরে গত জানুয়ারিতে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভারত সফরে আসতে পারেননি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। তবে মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে এক বিবৃতিতে জানানো হল, আগামী এপ্রিলের শেষেই ভারত সফরে আসছেন বরিস জনসন। মহামারী করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গে আরও দৃঢ় সম্পর্ক গড়তে চায় ব্রিটেন। সেই লক্ষ্যেই এবার ভারতে আসছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তিনি।

উল্লেখ্য, জুন মাসের ব্রিটেনের কর্নওয়েল শহরে জি-৭ বৈঠকের আয়োজন হবে। এই বৈঠকে যোগ দেবে বিশ্বের সাতটি ধনী দেশ। তালিকায়, আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাপানের। এই বৈঠকের আয়োজকের ভূমিকায় থাকছে ব্রিটেন। জি-৭ বৈঠকে মহামারী পরবর্তী উন্নত পৃথিবী কীভাবে গড়ে উঠবে তানিয়ে বিশদ আলোচনা হবে। সেখানে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বরিস জনসনের অফিসের তরফে আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এছাড়া আরও দুটি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার লক্ষ্যে তাদের আমন্ত্রিতের তালিকায় রাখা হচ্ছে। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: জোট নয়, তেমন হলে তৃণমূলকেই সমর্থন করবে কংগ্রেস; আবু হাশেম খান চৌধুরি

বরিস জনসনের অফিসের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিশ্বের ৫০ শতাংশেরও বেশি ওষুধ ভারতেই তৈরি হয়। মহামারী করোনাকে রুখতে ভারত ও আমেরিকা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। এখনও করছে। এই মহামারী রুখতে কী করা হবে বা উচিত, তানিয়ে মোদি ও বরিস জনসন বহুবার টেলিফোনিক বার্তালাপ সেরেছেন। তাই জি-৭ বৈঠকের আগে একবার ভারতে আসতে চান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।”