জম্মু, ২২ অক্টোবর: এবার থেকে সপ্তম পে কমিশনের (7th Pay Commission) যাবতীয় সুযোগ সুবিধা-সহ বেতন পাবেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি কর্মচারীরা। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকেই উপত্যকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোয় এই সপ্তম পে কমিশনের সুযোগ সুবিধাগুলি যুক্ত হয়ে যাবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর টুইট থেকে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই নির্দেশাবলি ইস্যু করেছে। তবে শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয় পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে এই সপ্তম পে কমিশনের আওতায় আসছে লাদাখও, এমনটাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম পে কমিশনের বেতন কাঠামো-সহ যাবতীয় সুয়োগ সুবিধা অনুমোদন করেছেন। মূলত কেন্দ্রের মোদি সরকার উপত্যকার বিশেষ অধিকার খর্ব করে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার দুমাসের মধ্যেই সেখানকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়তে চলেছে। শুধু বিশেষ স্টেটাসই নয়, একই সহ্গে ৩৭০ ধারা ও সংবিধানের ৩৫-এ ধারাকে বিলোপ করে কেন্দ্রের মোদি সরকার গট ৫ আগস্ট। তার আগেই কাশ্মীর জুড়ে জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে সমস্ত পর্যটকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনিতেই পাকিস্তানের জঙ্গি আগ্রাসনের কারণে সেখানে সবসময় সেনা পুলিশ টহলদারি স্বাভাবিক বিষয় ছিল। কিন্তু আগস্টের প্রথম দিক থেকেই গোটা উপত্যকা জুড়ে একের পর এক সেনার ব্যাটেলিয়ন প্রবেশ করতে শুরু করে। জওয়ানদের মার্চের আওয়াজে উপত্যকার স্বাভাবিক শব্দ ঢেকে যায়। গোটা এলাকা জুড়ে চলতে তাকে পুলিশি টহলদারি। কী কারণে কেন এসব হচ্ছে না বুঝলেও বাসিন্দারা একটা জিনিস বেশ বুঝতে পারছিলেন য়ে ফের কিছু বড়সড় একটা ঘটতে চলেছে। ৪ আগস্ট রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা-সহ তাঁরা বাবা ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করে ফেলা হয়। দিল্লিতে থাকায় এই বন্দিদশা থেকে বেঁচে যান প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। আরও পড়ুন-এবার পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহ, যাবেন নাকি?
৫ আগস্ট রাজ্য সভায় ৩৭০ ধারা রদের বিল পাস করিয়ে নেন অমিত শাহ (Amit Shah)। ছয় তারিখ তাতে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। আইনানুসারে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) থাকবে পুদুচেরির (Puducherry) মতো আইন সভা। ঠিক একইভাবে চণ্ডীগড়ের (Chandigarh) মতো আইনসভা ছাড়া কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে লাদাখ। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, এই দুই নতুন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের যাবতীয় আইন কানুনের রাশ থাকবে কেন্দ্রের হাতে।