অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও দিল্লির দূষণ (Photo Credit: PTI)

দিল্লি, ১৬ অক্টোবর: দূষণের মাত্রাতিরিক্ত বাড়বাড়ন্ত দিশেহারা দিল্লি। ক্রমেই খারাপের দিকে এগোচ্ছে দূষণের মাত্রা। উপায়ান্তর না দেখে এবার প্রতিবেশী রাজ্যগুলির কাছে রীতিমতো অনুরোধ রাখলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। দয়া করে দূষণ কমান, আম আদমি পার্টির প্রধানের তরফে এই অনুরোধই গেল প্রতিবেশী হরিয়ানা পাঞ্জাব সরকারের কাছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘গত চারমাস দিল্লির বায়ুমণ্ডলের দূষণের মাত্রা ছিল না। একেবারে নিঃশ্বাসের উপযুক্ত বাতাস যাকে গুড কোয়ালিটির অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বাইরে থেকে ধোঁয়ার আধিক্য বেড়ে চলায় দূষণের মাত্রাও বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করছি। গবেষণা বলছে অক্টোবরের গত সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত দূষণের মাত্রা (Reduce Pollution) বাড়বে।

গত শনিবারই এই বায়ুমণ্ডলের দূষণ জনিত সমস্যা (Air Quality Index) নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে দিল্লির সরকার। শূত আসলেই দূষণের চাদরে ঢাকে রাজদানী দিল্লি। এমন দশা হয় যে রাস্তাঘাটের দৃশ্যমানতা প্রায় থাকে না বললেই চলে। একটা সময় পর্যন্ত মনে হতে পারে কুয়াশা হয়েছে, আসলে এ ধোঁয়া। প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে কৃষকরা খড় বিচালির স্তূপ পুড়িয়ে ধোঁয়া ছড়াচ্ছে। আর তাতেই অন্ধকারে ঢাকছে দিল্লির আকাশ। সব ধোঁয়া দিল্লির দিকে উড়ে আসছে, শীতে রাজধানীতে জমিয়ে ঠান্ডা পড়ে। আর দোঁয়া সেই সুযোগে ধোঁয়াশার চাদর বোনে। মোটামুটি দশেরার পর থেকেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। গত বেশ কয়েকবছর ধরে এই সময়টা এলেই দূষণের মাপকাঠিতে বিপদ সীমার উপরে অবস্থান করে দিল্লি। আরও পড়ুন-টাকা নেই এই অজুহাতে দীপাবলির মুখে ২৫ হাজার হোমগার্ডকে ছাঁটাই করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার

সকালের স্কুলের সময় পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে, বাস, ট্রেন, বিমান পরিষেবাতেও ব্যাঘাত ঘটে। দূষণের কারণে পথে ঘাটের দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও ঘটে প্রচুর। বাসিন্দারাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। মাস্ক ছাড়া রাস্তাঘাটে বেরনোই মুশকিল হয়ে পড়ে। সব থেকে বেসি সমস্যার সমম্মুখীন হতে হয় শিশু ও বৃদ্ধবৃদ্ধাদের।