File image of Mumbai airport | (Photo Credits: PTI)

মুম্বই, ৩০ নভেম্বর: করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের থাবায় কাঁপছে দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বই। গত ১৫ দিনে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে অন্তত হাজার জন পর্যটক মুম্বইতে এসেছেন। আর এই আফ্রিকাতেই মিলেছে অতিসংক্রামক ওমিক্রনের জীবাণু। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে আফ্রিকা থেকে আগত পর্যটকদের কোভিড টেস্টের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিএমসি-র কাছে ৪৬৬ জন আফ্রিকান পর্যটকের তালিকা এসে পৌঁছানোর পর এঁদের মধ্যে ১০০ জনের সোয়াব টেস্ট করানো হয়েছে।  আরও পড়ুন-Mamata Banerjee Is In Mumbai Today: ৩ দিনের সফরে আজ মুম্বইতে মমতা, উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক

এই প্রসঙ্গে বিএমসির অতিরিক্ত কমিশনার সুরেশ কাকানি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ওমিক্রন ভাইরাস নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে বিশ্বকে। কারণ প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতেই বোঝা যাচ্ছে  করোনার এই নয়া প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা মারাত্মক। যথাসময়ে এটিকে রুখে না দিলে এর মারণ ক্ষমতাও বিশ্বকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে।"

অন্যদিকে জাতি সংঘের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এই ওমিক্রন জীবাণু সম্পর্কে যে কথাটি সবথেকে বেশি শোনা যাচ্ছে, তাহল- উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তা। অর্থাৎ, কেউই এই ওমিক্রন সম্পর্কে , এর গতিবিধি সম্পর্কে বিশদে কিছুই জানেন না।  বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানকে চিন্তিত করে দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ আফ্রিকাতে এই ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে। এদিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আফ্রিকা থেকে আগত ১ হাজার পর্যটকের তথ্য বিএমসিকে দিলেও  ৪৬৬-জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই ৪৬৬ জনের মধ্যে ১০০ জন মুম্বইয়ের। ইতিমধ্যেই তাঁদের সোয়াব টেস্ট করা হয়েছে। খুব শিগগির আসবে রিপোর্ট। রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, ওই ১০০ জন করোনা পজিটিভ না কি নেগেটিভ। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে নিশ্চিন্ত। নাহলে পজিটিভ রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে। WHO-র নির্দেশ মেনে দ্রুত রোগ নির্ধারণের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বলাবাহুল্য S-gene যদি মিসিং থাকে তাহলেই বোঝা যাবে ওই পর্যটকরা ওমিক্রনে আক্রান্ত। আর জিনোম সিকোয়েন্সিং সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করবে। পর্যটকদের মধ্যে সংক্রমণের প্রমাণ মিলতেই বিএমসির কোয়ারেন্টাইন সেন্টার আন্ধেরির সেভন হিলস হাসপাতালে পাঠানো হবে। ওমিক্রনের আতঙ্ক ছড়াতে না ছড়াতেই বিএমসি পাঁচ হাসপাতাল ও একটি জাম্বো ফেসিলিটি সেন্টার তৈরি রেখেছে। ওষুধ, অক্সিজেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এমন সব জাম্বো ফেসিলিটি একেবারে তৈরি। দুএকটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। বাকিগুলি প্রয়োজন অনুযায়ী কাজে লাগানো হবে।