Pranab Mukherjee: ‘দেশের মানুষ ভোট দিয়ে একটি দলকে সরকার গড়ার সুযোগ দেয়, তার অর্থ এই নয় যে যা খুশি তাই করবে’ নাম না করেই কেন্দ্রকে তোপ প্রণব মুখার্জির
প্রণব মুখোপাধ্যায়( Getty Images)

নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: দ্বিতীয় মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেই একের পর এক আইন পাস করিয়ে নিচ্ছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হতে না হতেই দেশজুড়ে মহা শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এই আইন মানতে রাজি নন। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই এনিয়ে জোড়াল মন্তব্য করলেও এতদিন একটিও শব্দ খরচ করেননি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। (Pranab Mukherjee)। তবে সোমবার নীরবতা ভেঙে তিনি নাম না করেই নরেন্দ্র মোদিকে অদূরদর্শী বললেন। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত অটলবিহারী বাজপেয়ী স্মৃতি বক্তৃতায় এদিন প্রধান বক্তা ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। সেখানেই তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভোট দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলকে সরকার গড়ার সুযোগ দেয়। তার মানে এই নয় যে সেই দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেল। এবার যা খুশি তাই করবে। আরও পড়ুন-Priyanka Gandhi Protest at India Gate: জামিয়াকাণ্ডে ইন্ডিয়া গেটে ধরনায় বসলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা

তিনি বলেন, “আমাদের দেশে কখনওই কোনও দল বা ব্যক্তি ৫১ শতাংশ ভোটারের জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসেননি। ১৯৫২ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কখনওই তা হয়নি। ১৯৫৭ সালে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ৪৮০ টি আসনের মধ্যে ৩৭১টি আসনে জিতে সরকার গড়েছিলেন। কিন্তু তখনও ৪৭.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। ৮৪ সালের ভোটে রাজীব গান্ধী ৫১৪ টি আসনের মধ্যে ৪০৪ টিতে জিতলেও তিনিও ৫১ শতাংশ ভোট পাননি। এবার লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপি একাই তিনশোর বেশি আসনে জিতলেও মাত্র ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ এই সরকারকেও সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার বলা যায় না।”

দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এদিন হাবেভাবে বুঝিয়ে দিলেন যে, নির্বাচনে জনতা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলকে স্থায়ী সরকার গড়ার অধিকার দেয়। তার অর্থ কখনই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়। অর্থাৎ ক্ষমতা পেলেই তার অপব্যবহার দেশের সাধারণ জনগণ কখনও মেনে নেবে না। ১২,৬৯,২১৯ বর্গ মাইলজুড়ে বিস্তৃত আমদের একটা জাতি। সাতটি মূল ধর্মের দেশ, ১২২টি ভাষা এবং ১৬০০ উপভাষায় কথা বলেন এ দেশের মানুষ। ভারতীয়রা ভাগাভাগি পছন্দ করে না। যে এই কাজ করতে যাবে তাকে যোগ্য শাস্তিও দেবে দেশের মানুষ। অটল বিহারী বাজপেয়ী য়ে এই বাস্তবতা মানতেন, তারও উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।