মুম্বই, ২৬ নভেম্বর: আজ ২৬/১১ -র (26/11) সেই ভয়ঙ্কর দিন। আজ থেকে ১১ বছর (11 Years) আগে ১৬৬ টি প্রাণ (166 lives) কতগুলি বুলেটের আঘাতে অবলীলায় মারা যায়। মুম্বইয়ের (Mumbai) প্রাণকেন্দ্র তাজ হোটেলের জানলা দিয়ে লাফ দেয় কতগুলি মানুষ, শেষবার বেঁচে থাকার চেষ্টায়। বুড়ো থেকে কোলের শিশু কেউই বাদ যায়নি হত্যালীলায়। আজ তার ইতিহাসের পাতা ঘেটে ঘটনাগুলি আবার মনে করার পালা। আজও সেই ভয়ঙ্কর ইতিহাস মনে পড়লে মানুষের দীর্ঘনিঃশ্বাস পড়ে, মৃতদের উদ্দেশে চোখের কোণা ভিজে ওঠে।
আজ দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind) থেকে উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু (V. Naidu), অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) সকলেই সেই দগদগে ইতিহাসকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বার্তা দিলেন। ২৬/১১ জঙ্গিহানার ১১ বছর পর মৃতদের উদ্দেশে জানালেন শ্রদ্ধার্ঘ্য।
আরও পড়ুন, ১১ বছর পেরিয়ে ২৬/১১-র আতঙ্ক কি ভুলতে পেরেছেন দেশবাসী! ভয়ঙ্কর সেই রাতে কি হয়েছিল মনে আছে?
দেখুন সেই বার্তা-
On the 11th anniversary of the Mumbai terror attacks, we remember everyone who lost their lives and mourn with their families. A grateful nation salutes the security personnel who made the supreme sacrifice. We remain firm in our resolve to defeat all forms of terrorism.
— President of India (@rashtrapatibhvn) November 26, 2019
Eleven years have gone by since #2611attack. We respectfully remember the martyrs and pay tributes to them. The spirit, courage and sense of duty valiant citizens displayed on that day shall inspire us forever. #MumbaiTerrorAttack
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) November 26, 2019
Tributes to the innocent citizens & Railway staff who lost their lives in the gruesome 26/11 #MumbaiTerrorAttack and a big salute to the exemplary courage shown by all ‘Mumbaikars’ and the security forces in protecting our fellow citizens. pic.twitter.com/OMCHuDsN5H
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) November 26, 2019
My tributes to all those who lost their lives in the dastardly Mumbai terror attack of 2008. We stand in solidarity with the bereaved families.#MumbaiTerrorAttack
— Vice President of India (@VPSecretariat) November 26, 2019
ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস রেলস্টেশন (CSMT), কামা হসপিটাল (Cama Hospital), ওবেরয় হোটেল (Oberoi-Trident Hotel) , তাজ হোটেল (Taj Mahal Hotel) সহ আরও কিছু জায়গায় হয়েছিল জঙ্গিহানা। জলপথে সেদিন ভারতে এসে বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের (Mumbai) মাটিতে সন্ত্রাস ছড়িয়েছিল পাক জঙ্গিরা (Terrorists)। হামলার ছক কষেছিল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠন। পাকিস্তানে বসেই সেই ছক কষা হয়েছিল। মোট ১০জন যুবককে পাকিস্তানের মাটিতেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র সমেত ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২১ নভেম্বর করাচি ছাড়ে ওই জঙ্গিরা। প্রায় ৩৮ ঘণ্টা ধরে ভারতীয় জলসেনার নজর এড়িয়ে বোটে করে এদেশের জলসীমান্তে আসে। ২৩ নভেম্বর জঙ্গিরা একটি ভারতীয় ট্রলার অপহরণ করে। 'কুবের' নামের ওই ট্রলারের চারজন মৎসজীবীকে মেরে নাবিককে প্রাণের ভয় দেখিয়ে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা ভারতীয় জলবাহিনীর নজর এড়িয়ে মুম্বইয়ের সীমান্তে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। এরপরে করাচি থেকে নির্দেশ এলে মুম্বই উপকূল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় ট্রলারের নাবিককে মেরে স্পিড বোট নিয়ে পাড়ে চলে আসে জঙ্গিরা।২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয় জঙ্গি কার্যকলাপ। তারা যে পাকিস্তান থেকেই এদেশে এসেছিল তা এদিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সেদেশের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান তারিক খোসার কথায়।