Reserve Bank of India (Photo Credits: Twitter)

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির সময় বাতিল হয়ে যায় ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। এর পরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল। তার ঠিক সাড়ে ছয় বছর পরে ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯ মে, ২০২৩-এ যখন ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট প্রত্যাহার ঘোষণা করা হয়েছিল তখন ব্যবসার শেষ সময়ে বাজারে প্রচলন ব্যাঙ্কনোটের মোট মূল্য ছিল ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল ৩১ শে জানুয়ারী পর্যন্ত ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোটের প্রায় ৯৭.৫% ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফেরত এসেছে। এবং এই জাতীয় নোটগুলির মাত্র ৮৮৯৭ কোটি টাকা এখনও জনসাধারণের কাছে রয়েছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক  জনসাধারণ এবং সংস্থাগুলিকে প্রাথমিকভাবে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এর মধ্যে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নোট গুলোকে বিনিময় করতে বা জমা দিতে বলেছিল। পরে সময়সীমা ৭ অক্টোবর, ২০২৩ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে জমা এবং বিনিময় পরিষেবা ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে বন্ধ করা দিয়েছে। এরপর ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে  ব্যক্তিদের রিজার্ভ ব্যাংকের ( RBI) ১৯টি অফিসে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মুদ্রা বিনিময় বা সমতুল্য অর্থ জমা করার বিকল্প দেওয়া হয়েছিল।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তথ্য প্রকাশ করে বলেছে যে গত বছরের ১৯ মে, ২০২৩-এ ব্যবসার সমাপ্তিতে২০০০ টাকার নোটের মূল্য ছিল ৩.৫৬লক্ষ কোটি টাকা।গতকাল অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪-এ লেনদেন শেষ হলে দেখা যায় ২০০০ টাকার নোটের মোট মূল্য ৮৪৭০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।