দক্ষিণ কোরিয়ায় (South Korean) মহামারী মত ছড়িয়ে পড়েছে ডিপফেক পর্ন (Deepfake Porn) ভিডিয়ো। সেখানকার তরুনি-যুবতীদের ডিপফেক পর্নোগ্রাফিতে ছড়াছড়ি ইন্টারনেট। ডিপফেকের এই বাড়বাড়ন্তে রাশ টানতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রয়াস চালাচ্ছে। সরকারি পদক্ষেপ জারি তবে তার মাঝেই কে-পপ সেনসেশন জ্যাং ওন-ইয়ং (Wonyoung) ডিপফেকের শিকার হলেন। সাউথ কোরিয়ার ইন্টারনেট জুড়ে ট্রেন্ড করছেন বছর কুড়ির কে-পপ তারকা। স্বাভাবিক ভাবেই ডিপফেকের অস্তিত্ব এবং সমাজে এর ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সে দেশের সরকার।
ডিপফেক হল ইন্টারনেটের একটি অবৈধ অন্ধকার জগৎ। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ফেসিয়াল রিকগনিশন অ্যালগরিদমগুলি ব্যবহার করে বাস্তব বা কাল্পনিক মানুষকে চিত্রিত করে আসলের মতই অবিকল নকল ছবি, ভিডিয়ো বা অডিয়ো তৈরি করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ডিপফেক পর্ন ভিডিয়ো সাংঘাতিক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। যার শিকার বহু তরুণী। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন কোরিয়ান গায়িকা ওয়ানইয়ং (Wonyoung)।
২০০৪ সালের ৩১ অগাস্ট জন্ম কে-পপ শিল্পী ওয়ানইয়ংয়ের। গার্ল পপ গ্রুপ ইজোনের হাত ধরে পপ জগতে আত্মপ্রকাশ করেন তরুণী। ২০১৮ সালে প্রডিউস ৪৮ নামে একটি রিয়্যালিটি টিভি শো-য়ে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে দর্শকমহলের নজরে আসেন ওয়ানইয়ং। বর্তমানে তিনি আইভিই (অ্যাক্টিভ) গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। মাত্র কুড়ি বছর বয়সেই নিজের পপ গানের মাধ্যমে বিপুল ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এতদিন অবধি পপ গান নিয়ে চর্চায় থাকা গায়িকা ডিপফেকের শিকার হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছেন। তাঁর ডিপফেক পর্নোগ্রাফি ট্রেন্ড করছে ইন্টারনেটে। 'ওয়ানইয়ং (আইভিই) পর্ন ডিপফেক' নামেও গায়িকার ডিপফেক পর্নোগ্রাফি ছড়িয়েছে।