মোদি ও ট্রাম্পের ফাইল ছবি (Photo Credits: IANS)

ওয়াশিংটন, ২৯ এপ্রিল: ফলো করার তিন সপ্তাহের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে আনফলো করে দিল মার্কিন প্রশাসন। তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী একা নন, মার্কিন প্রশাসনের আনফলোর তালিকায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়, ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এবং মার্কিন মুলুকে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। হোয়াইট হাউসের এহেন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দিল্লি এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। যদিও সমালোচকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছে, এই আনফলোর নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় কূটনৈতিক ব্যর্থতা। বলা বাহুল্য, গত ১০ এপ্রিল থেকে মার্কিন প্রশাসন ভারতের নামী রাজনৈতিক নেতৃত্বকে টুইটারে ফলো করা শুরু করে। এদিকে ট্রাম্পের টুইটার থেকে  প্রধানমন্ত্রী বাদ পড়তেই আসরে নেমে পড়েছে কংগ্রেস।

রীতিমতো কটাক্ষ করে বলেছে, ভারত প্রিয়বন্ধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সখ্যতা রাখার পরও হোয়াইট হাউস (White House) নরেন্দ্র মোদিকে টুইট থেকে ছেঁটে ফেলল। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা গৌরব পান্ধি এক টুইট বার্তায় কেন্দ্রকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, “হোয়াইট হাউসের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও নরেন্দ্র মোদিকে টুইটার থেকে আনফলো করে দিলেন। এখানে চলছে টা কি? সরকারকি এনিয়ে দেশবাসীকে ব্যাখ্যা দেবে!” চলতি মাসের গোড়াতেই নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে ফলো করতে শুরু করে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউস সাধারণত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের টুইটার হ্যান্ডল ফলো করে না। তবে যে ১৯টি টুইটার হ্যান্ডল রয়েছে, তারমধ্যে নরেন্দ্র মোদিও যুক্ত হন। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন- Arnab, Aag, Tej, Vyom, Gati: অর্ণব, আগ, তেজ, গতি, ব্যোম; ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে আসন্ন সাইক্লোনের নামকরণ করল দিল্লি

মূলত করোনা রুখতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নরেন্দ্র মোদি যদি এই ওষুধ আমেরিকাকে সরবরাহ না করে তাহলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। সেই হুমকি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে আশ্বস্ত করে ৩৫ লক্ষ ৮৩ হাজার হাইট্রক্সিক্লোরোকুইন আমেরিকায় পাঠাতে দেরি করেনি দিল্লি। এরপরই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মোদিকে টুইটারে ফলো করতে শুরু করেন ট্রাম্প। ওষুধ পেয়ে টুইট করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি। নরেন্দ্র মোদিকে মানবতার নেতা হিসেবেও আখ্যা করেন ট্রাম্প।