ডোনাল্ড ট্রাম্প (Photo Credits: Getty Images)

ওয়াশিংটন, ২৩ জুনকরোনাভাইরাস লকডাউনের জেরে বিশ্বজুড়ে ছাঁটাই পর্ব অব্যাহত। এই পদ্ধতি মেনে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করল H-1B, H-4, H-2B ভিসা। একই সঙ্গে চলতি বছরের শেষপর্যন্ত বাতিল হচ্ছে L ও J ভিসা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের জেরে আমেরিকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪৬ মিলিয়ন মার্কিনি। এমন অবস্থায় ভিসায় রাশ টানার সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ট্রাম্প (Donald Trump) কিছুটা এগিয়ে থাকবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এইচ-১বি এবং এন-১ ভিসার সুবিধা সবচেয়ে বেশি পায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এবং আমেরিকায় কর্মপ্রার্থী ভারতীয়রা। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলে ভারতীয়রাই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে ধারনা পর্যবেক্ষক মহলের। সব আশঙ্কা সত্যি করে H-1B এবং L1 ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন।

ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে দেওয়া বিস্তারিত নির্দেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সেই সব ওয়র্ক পারমিট অবিলম্বে বাতিল করে দেওয়ার জন্যে যাঁদের চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য, যাঁরা সেদেশে কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অথবা যাঁদের ইতোমধ্যে ডিপোর্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর থেকেই প্রায় ৫০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ বেরিয়ে আসবে মার্কিনিদের জন্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২০ সালের বাকি সময়ের মধ্যেই আমেরিকায় ৫ লাখ ২৫ হাজার কর্মখালি হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে হওয়া কনফারেন্স কলে এই তথ্য জানান প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ এক আধিকারিক। তিনি আরও জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে মার্কিনিদের দ্রুত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এবং দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আরও পড়ুন-India-China Tensions: গলওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর আজ প্রথম লেহ-র আকাশে বায়ুসেনার যুদ্ধ বিমান(দেখুন ভিডিও)

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই  H-1B এবং L1 ভিসা স্থগিতের খবরে অসন্তোষ প্রকাশ করল গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক ও অ্যামাজনের মতো সিলিকন ভ্যালির নামী কোম্পানিগুলি। আমেরিকায় সংকটময় অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এদিকে এনিয়ে অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, 'আমেরিকার অর্থনৈতিক সাফল্যের অনেকটা কৃতিত্বই যায় অভিবাসনের উপর। তার জন্যই বিশ্বের প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে আমেরিকা আর সে জন্যই Google আজ এই জায়গায়।'