সুইজারল্যান্ড কী এবার নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করতে চাইছে? সম্প্রতি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোকে কেন্দ্র করে সরগরম সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্ট। ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে অস্ত্রের চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে কিয়েভের তরফে। অন্য়ান্য দেশ বিভিন্নভাবে সেই অস্ত্র প্রদান করলেও। সুইজারল্যান্ডের তরফে এতদিন ধরে নিরপেক্ষতা বজায় রাখায় ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। যার মানে হল যুদ্ধ বিদ্ধস্ত কোন এলাকায় অস্ত্র না পাঠানো। তবে এই নীতির ওপর ভর করে সমস্যায় পড়েছেন সেই দেশের অস্ত্র নির্মাতা সংস্থারা।

চাহিদা বা ইচ্ছে থাকলেও আইনি বাধার জেরে কোনভাবেই সুইস মেড অস্ত্র তারা পাঠাতে পারছেন না যুদ্ধ বিদ্ধস্ত এলাকায়। এই নিয়ে পার্লামেন্টে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছেন আইন প্রণেতারা। তবে কি তাহলে পুরনো সেই চুক্তির অবসান ঘটতে চলেছে?  পোলস্টারস সোটোমো নামের এক সংস্থার করা সমীক্ষায় জানা গেছে সে দেশের ৫৫ শতাংশ মানুষ চান তাদের দেশের অস্ত্র যেন ইউক্রেনে পাঠানো হয়।

 

তবে এর ফলে ভঙ্গ হবে  নিরপেক্ষতার চুক্তি। সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রনীতিতে নিরপেক্ষতার বার্তা অনেক পুরনো। যে নীতিতে বলা হয়েছে সুইজারল্যান্ড কোনভাবে ২ দেশের মধ্যে কোন রাজনৈতিক বা যুদ্ধের বিষয়ে মাথা ঘামানো থেকে নিজেরা বিরত থাকবে। ১৮১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে তারা এই নিরপেক্ষতার নীতি অবলম্বন করে।