কিয়েভ, ২৬ ফেব্রুয়ারি: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ চারদিক থেকে ঘিরে ধরে দখল নেওয়ার পথে রাশিয়া। তার আগে কিয়েভ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। এমনটাই দাবি করল রাশিয়া (Russia)। শুক্রবার রাতে ভিডিয়ো-বার্তায় জেলেনস্কির ঘোষণা করেছিলেন, "আমরা সকলে এখানে। আমাদের সামরিক বাহিনী এখানে। সমাজের নাগরিকরা এখানে। আমরা সবাই এখানে আমাদের দেশ এবং স্বাধীনতাকে রক্ষা করছি। এ ভাবেই করতে থাকব। রক্ষকদের গৌরব, আমাদের গৌরব।"সেই জেলেনস্কি কি সত্য়িই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন? এটা ঠিক যে রাশিয়ার সামরিক শক্তির চাপে অনেকটাই কোণঠাসা ইউক্রেন। তবে সীমিত শক্তি নিয়েও ইউক্রেনের সেনারা সাধ্যমত লড়ছেন। এমন সময় প্রেসিডেন্ট দেশ ছাড়লে ইউক্রেনের সেনাদের মনোবল ভাঙতে পারে।
এদিকে, কিয়েভের রাস্তায় সুড়ঙ্গ, বাঙ্কার খুলে মাটিরে তলায় ঢুকে রাশিয়ান হামলা থেকে বাঁচার চেষ্টায় সাধারণ মানুষ। কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় সুড়ঙ্গ, বাঙ্কার খুলে জীবনে বাঁচার চেষ্টা আম জনতার। রাজধানী কিয়েভে কার্ফু আরও কঠোর করা হল। কার্ফু ভাঙলে তাদের শত্রু ধরে নিয়ে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: পুতিনকে নিয়ে কী ভবিষ্যতবানী করেছিলেন বুলগেরিয়ার 'খনা মা'!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সবে শুরু। শুরুতেই ক্ষতির পরিসংখ্যান দেখলে বলতে হচ্ছে, তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল। ইউক্রেনের স্বাস্থমন্ত্রী জানালেন, রাশিয়ার হামলায় তাদের দেশের ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশুও। এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাস্তায় পড়ে রয়েছে যুদ্ধের চিহ্ন। রাশিয়ার মিসাইল হানায় বেশ কিছু বহুতল ভেঙে রয়েছে। বেশ কিছু বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। আর চারিদিক থেকে ভেসে আসছে কান্নার আওয়াজ।