লন্ডন ও পাকিস্তান, ২ জুলাই: জাবির মোতিওয়ালার (Jabir Motiwala) সূত্র ধরে এবার দাউদ ইব্রাহিমের নাগাল পেতে উঠেপড়ে লেগেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। মোতিওয়ালা এই মুহূর্তে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের জিম্বায় রয়েছে পাকিস্তানের এই সো-কল্ড ব্যাবসায়ী। এই ব্যবসায়ী নিজে দাউদের ডি-কোম্পানির (D-Company) হাওয়ালায় টাকা খাটানো থেকে শুরু করে ড্রাগ পাচারের কাজ সবই করে এই জাবির মোতিওয়ালা। এবার মোতিওয়ালাকে প্রত্যার্পণ করতে মাথা গলিয়েছে ওয়াশিংটন। তাতেই চোখের ঘুম উড়েছে ইসলামাবাদের। যেনতেন প্রকারেণ জাবির মোতিওয়ালার প্রত্যার্পণ ঠেকাতে বদ্ধ পরিকর ইসলামাবাদ। কেননা এই মোতিওয়ালাকে হাতে পেলেই দাউদের যাবতীয় গতিবিধি এফবিআইয়ের দখলে চলে আসবে। আরও পড়ুন-Kabul Blast: কাবুলে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কাছে তীব্র বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৩৮ জন
এই অবস্থায় ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রত্যাপর্ণ মামলায় জাবিরের আইনজীবীকে কূটনৈতিক ভাবে সবরকম সাহায্য করতে নেমেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানি কূটনীতিকরা বলছেন, জাবির মোতিওয়ালা মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত। বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও নাকি করেছে। তার বিরুদ্ধে হাওয়ালা, ড্রাগ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে প্রত্যপর্ণ করা ঠিক হবে না। এর আগে এক বার প্রত্যর্পণে বাগড়া দিয়েছে পাকিস্তান। আদালতে জানিয়েছে, জাবির মোতিওয়ালা তাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। এদিকে এফবিআই-য়ের তরফে ব্যারিস্টার জন হার্ডি জানিয়েছেন, মোতিওয়ালা নিয়মিত বিভিন্ন দেশে সফরে যায়। দাউদের হয়ে সে সব দেশের অপরাধ চক্রের মাথাদের সঙ্গে ডিল করে সে। ফলে শুধু আমেরিকায় নয় বিশ্বজনীন সন্ত্রাস ও ড্রাগ চক্র বন্ধ করার স্বার্থেই মোতিওয়ালাকে প্রত্যপর্ণ করা জরুরি।
উল্লেখ্য, দাউদকে অনেক আগেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন। ইসলামাবাদের আশঙ্কা জাবির মোতিওয়ালাকে আমেরিকা গ্রেফতার করে তাদের দেশে নিয়ে যেতে পারলে, তাকে জেরা করে সব তথ্য বের করে নেবে। যে হেতু জাবির দাউদের অন্যতম লেফটেন্যান্ট, তাই করাচি ও পাকিস্তানে ডি-কোম্পানির সব কার্যকলাপ সে জানে। দাউদের সঙ্গে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ, পাক প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে দাউদের দহরম মহরম সবই জাবিরের জানা। জাবির তাঁদের দেশের অভিজাত ও ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক জন বলে এতদিন পরিচয় দিতেন পাক কূটনীতিকরা। কিন্তু গত বছর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে জাবিরকে লন্ডনে গ্রেপ্তার করতেই ইসলামাবাদের মাথা ঘুরে গিয়েছে।