ইসলামাবাদ, ৯ এপ্রিল: আজ পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে (Pakistan National Assembly) অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। দেশ গঠন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রী পুরো পাঁচবছর মেয়াদে সরকার চালাতে পারেননি। ইমরান খানের সরকার বৃহস্পতিবার একটি ধাক্কা খেয়েছিল। কারণ পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট (Pakistan Supreme Court) ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির রুলিং বাতিল করে দেয়। ডেপুটি স্পিকার বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন।
আদালত পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়া এবং পরবর্তী সমস্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। ৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার আগেই অনাস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: রাশিয়ার হামলায় 'ধ্বংসস্তূপ' চেরনিগিভ, ইউক্রেনের এই শহরে মৃত্যু কমপক্ষে ৭০০ জনের
শীর্ষ আদালত আরও রায় দিয়েছে যে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি না হওয়া পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে যে অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে ইমরান খানকে অপসারণ করা হলে একই অধিবেশনে হাউসের নতুন নেতা নির্বাচন করা উচিত।
ইতিমধ্যেই কয়েকটি জোটসঙ্গী দল সমর্থন তুলে নেওয়াতে সংসদে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf)-র নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। সরকারের সমর্থনে থাকা সাংসদ সদস্য সংখ্যা ১৪২-তে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, বিরোধীদের শক্তি ২০০ ছাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল করতে যৌথ বিরোধী দলের ১৭২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।