মালালা ইউসুফজাই(Photo Credit: Twitter)

লন্ডন, ৮ আগস্ট: শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বার্থেই মিটে যাক কাশ্মীর সমস্যা। সন্ত্রাস কীভাবে শৈশবকে কালিমালিপ্ত করে তা তাঁর ভাল করেই জানা আছে। তাইতো সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় তো লাগবেই। ৩৭০-ধারা (Article 370) বিলুপ্তিতে উত্তাল কাশ্মীর। উপত্যকার শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন রাষ্ট্রসংঘের শান্তির দূত নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই  (Malala Yousafzai)। তিনি জানেন সন্ত্রাস কীভাবে শৈশবকে কেড়ে নিতে পারে। তাই বৃহস্পতিবার টুইট বার্তায় কাশ্মীরের শিশু ও মহিলাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মালালা। একইসঙ্গে আন্তার্জাতিক মঞ্চের কাছে কাশ্মীর সমস্যার ষুষ্ঠুও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আর্জিও রেখেছেন তিনি। আরও পড়ুন-এবার দুদেশের মধ্যে সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করল পাকিস্তান

ভারত সরকারের জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্তে  খুশি নয় মালালার জন্মভূমি পাকিস্তান। বুধবারই কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। স্থগিত রাখা হয়েছে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য। এই অবস্থায় মালালা চান, দক্ষিণ এশিয়ার আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলি একজোট হয়ে মানবাধিকার ও শিশু নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে। বিনা রক্তপাতে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের পক্ষেই সওয়াল করছেন মালালা। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আামার শৈশব কেটেছে এই অশান্তি দেখেই। শুধু আমারই নয়, সাত দশক ধরে কাশ্মীরের ছেলে মেয়েরা হিংসার মধ্যেই বড় হয়েছে। কাশ্মীর এই উপত্যকা ১৮ লক্ষ মানুষের মতো আমাদেরও ঘরবাড়ি। আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বাঁচতে চাই।’

নারী শিক্ষা নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছিল সোয়াট উপত্যকার কিশোরী মালালা ইউসুফজাই। তাই তালিবানি জঙ্গিদের নিশানা হয়ে গিয়েছিল সে। ফল স্বরূপ মালালার মাথায় তিনটি গুলি ছুঁড়েছিল জঙ্গিরা। তখন মালালার বয়স মাত্র ১৫। এরপর যমে মানুষে টানাটানি, তবে মানবিতার লড়াইয়ে কবে কে জিততে পেরেছে। সমস্ত অসুস্থতাই মালালর শুভবুদ্ধির সামনে হার মেনেছিল সেদিন। লম্বা লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে তাঁর জীবন ফেরত পাওয়ার লড়াইয়ের গল্প সারা পৃথিবী জানে। আর মালালা সবচেয়ে ভাল জানেন, হিংসা কী ভাবে শৈশব-কৈশোর নষ্ট করে দেয়। পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। রাষ্ট্রসংঘ তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।