ব্রাসিলিয়া, ১৬ জুলাই: কোভিড আক্রান্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো (Jair Bolsonaro) রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। বাড়িতে তাঁর পোষ্যর অভাব নেই। কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় সেসব পশুপাখির সঙ্গেই অনেকটা সময় কাটান প্রেসিডেন্ট। এবার সেখানেই ঘটল বিপত্তি। কোভিড পজিটিভ প্রেসিডেন্টকে কামড়ে দিল বিশালাকার উট পাখি। সেই ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা মশকরা করেছে। কেউ বলেছে পাখিরাও এখন চিনে গেছে কে পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো যে পরিবেশের সুরক্ষা নিয়ে বিশেষ চিন্তাভাবনা করেন না, তা গোটা ব্রাজিল জানে। এই এমু পাখির কামড়ের ঘটনায় অনেকে আবার বলছে, পরিবেশ ফের পূর্বাবস্থায় ফিরছে। তবে ইতিবাচক বিষয় হল, অনেকটাই সুস্থ আছেন প্রেসিডেন্ট। ফের একবার তার করোনা টেস্ট হবে।
জানা গিয়েছে, ছোট আকৃতির উটপাখি বা এমুর মতো দেখতে এই পাখির স্থানীয় নাম রীয়া। অনেক দিন ধরেই সেগুলি রয়েছে। প্রেসিডেন্টের বাসভবনের খোলা চত্বরেই ঘুরে বেড়ায় তারা। তাদের সঙ্গে অবসরে খেলাও করেন প্রেসিডেন্ট, খেতেও দেন কখনও কখনও। সাত জুলাই করোনা ধরার পর বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। এদিন বিকেলে প্রাসাদ চত্বরে পাখিদের খাওয়াতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই একটি এমু পাখি তাঁর হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। এমুর কামড় খেয়ে হাত ঝাকাচ্ছেন জাইর বলসোনারো, সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বছর ৬৫-র বলসোনারো আর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চাইছেন না। খুব শিগগির তাঁর লালারসের পরীক্ষা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসুক, এটাই চাইছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর মতে বাড়িতে থাকতে থাকতে হাঁফিয়ে উঠেছি। আরও পড়ুন-Ashok Gehlot Slams Sachin Pilot: ‘সুন্দর চেহারা আর অনর্গল ইংরেজি বলাটাই রাজনীতিতে সব নয়’, ফের শচিন পাইলটকে কটাক্ষ অশোক গেহলটের
O presidente Jair Bolsonaro foi bicado por uma ema nesta segunda-feira, no jardim do Palácio do Planalto, em Brasília.
A revolução dos bichos, gente. pic.twitter.com/T81AnjOgRn
— William De Lucca (@delucca) July 13, 2020
পরিবেশের প্রতি যত্নবান নন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, এই অভিযোগ বরাবরের। গত বছর আগাস্টে আমাজনের অরণ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পৃথিবীর ফুসফুস ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ার পিছনে তাঁর মদত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবেশবিদদের দাবি, বলসোনারো কাঠুরে ও কৃষকদের জমি সাফ করতে উৎসাহিত করেছেন বলেই আগুন লাগানো হয়েছে ইচ্ছাকৃত ভাবে। যাইহোক করোনা আক্রান্ত বলসোনারোকে এমু পাখি কামড়ে নেওয়া দেশবাসী উদ্বেগ প্রকাশের থেকে বেশি খুশিই হয়েছে।