ব্রিজটাউন, ২৮ নভেম্বর: বিশ্বের নতুন প্রজাতন্ত্র (Republic) হতে চলেছে বার্বাডোস (Barbados)। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের (British Monarchy) সঙ্গে ৩০০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে তারা। সমুদ্র সৈকত ও ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার জন্য বিখ্যাত বার্বাডোসের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আর থাকবেন না রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II)। আগামী সপ্তাহেই তাঁর হাত থেকে এই ভার নিয়ে নেবেন বর্তমান গভর্নর জেনারেল সান্দ্রা ম্যাসন। দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি হবেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠান, সামরিক কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে প্রজাতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করবে বার্বাডোস।
বার্বাডোস ক্যারিবীয় সাগরে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ব্রিজটাউন দেশটির বৃহত্তম শহর, প্রধান বন্দর ও রাজধানী। ১৯৬৬ সালে বার্বাডোসে একটি নতুন যুগের সূচনা হয় এই দেশে। ২ লাখ ৮৫ হাজার জনসংখ্যার দেশটি ২০০ বছরের বেশি ব্রিটিশ শাসনের পর স্বাধীনতা লাভ করেছিল। যদিও, রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে থেকে যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। যা নিয়ে কয়েক দশক ধরেই বিতর্ক চলছিল। নাগরিকদের মধ্যেও অসন্তোষ দিনদিন বাড়ছিল। আরও পড়ুন: Covid-19 Cases In India: ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ৮,৭৭৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬২১ জনের
গত অক্টোবরে, বার্বাডোসের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন সান্দ্রা মেসন। যদিও, তার এক বছর আগেই প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি ঘোষণা করেন যে দেশ পুরোপুরি ভাবে ঔপনিবেশিক অতীত ত্যাগ করবে। তবে কিছু বার্বাডিয়ান যুক্তি দেন যে কোভিডের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা-সহ আরও জাতীয় সমস্যা রয়েছে। দেশের অর্থনীতি পর্যটনের উপর অত্যধিক নির্ভর। আর বার্বাডোসে আসা মোট পর্যটকদের মধ্যে ব্রিটিশ পর্যটকই বেশি থাকে। তাই রানির হাতে থেকে ক্ষমতা চলে গেলে আদতে ক্ষতি হবে।
রাজধানী ব্রিজটাউনের একজন মাছ বিক্রেতা শ্যারন বেলামি-থম্পসন বলেন, "একজন তরুণী হিসেবে যখন আমি রানির কথা শুনতাম, তখন আমি সত্যিই উত্তেজিত হয়ে পড়তাম। আমি যত বৃদ্ধ হচ্ছি, আমি ভাবতে শুরু করি যে এই রান আমার জন্য এবং আমার দেশের জন্য আসলে কী। এর কোনও অর্থ ছিল না। একজন মহিলা বার্বাডিয়ান রাষ্ট্রপতি হলে দুর্দান্ত হবে।"