লিসবন, ২৪ অক্টোবর: পর্তুগালে (Portugal) ঘটল এক বিরল ঘটনা। ছোট্ট রোড্রিগো (Rodrigo) জন্ম নিল মুখ ছাড়া। গত ৭ অক্টোবর নাক, চোখ ও মাথার কিছু অংশ ছাড়াই জন্ম হয় রোড্রিগোর। এই ঘটনা জানাজানি হতেই হতবাক হয় যায় পুরো দেশ। তবে দক্ষিণ লিসবনের সেতুবলের (Setubal) এই হাসপাতালের (Hospital) কাছে ঘটনাটি নতুন কিছু নয়। এর আগে এই হাসপাতালে বহু বিকলাঙ্গ শিশুর (Deformities) জন্ম হয়। এই ঘটনায় বহিস্কার করা হয় প্রসূতির চিকিৎসককে।
পর্তুগালের মেডিকেল কাউন্সিল ওই হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক ডঃ আরতার কারভালহোকে (Dr Artur Carvalho) ৬ মাসের জন্য বহিস্কার করার আবেদন করে । এর আগেও ২০১৩ সাল থেকে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আরও ৬ টি অভিযোগ আসে। এর আগে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আসে। এরপরই মেডিকেল কাউন্সিল বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়। আরও পড়ুন, অক্টোবরের বর্ষণে নাকাল বঙ্গবাসী, আগামী ২ দিন ভারী বৃষ্টিপাত
বারংবার ডাক্তারের গাফিলতিকে কেন্দ্র করে মজবুত প্রমাণ পাওয়া গেছে। ডঃ কারভালহো রোড্রিগোর মায়ের প্রসূতি অবস্থায় ৩ টি ইউএসজি টেস্ট করায়। কিন্তু সেই সময় কোনোরকম অস্বাভাবিকতার কথা জানানো হয়নি। গর্ভাবস্থার মাস ছয়েক পর আরও আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করার অনুরোধ করেছিল ওই দম্পতি। তাঁরা ভ্রূণের সম্ভাব্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করেছিলেন। কিন্তু চিকিত্সক এমন কোনো বিষয় নেই বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। ওই চিকিৎসকের দাবি আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার পরেও অনেকসময় বাচ্চার অস্বাভাবিকতা বোঝা যায় না। এমনি অভিযোগ তোলেন প্রসূতির বোন। এই বিষয়ে হাসপাতালের মুখপাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চিকিৎসককে বহিস্কার করে।