রকেট হামলার প্রতীকী ছবি(Photo Credits: Twitter @ahmedjnena2)

সামারা, ১৩ জানুয়ারি: আঘাত প্রত্যাঘাতে আমারিকা ও ইরান যেন ক্রমশ যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে। রবিবার ফের ইরাকের সেনাঘাঁটিতে (Iraqi airbase) চলল হামলা। ইরাকের বালাদ (Al-Balad airbase)এয়ার বেসের ভিতরে মোট সাতটি মর্টার হামলার খবর মিলেছে। আমেরিকার তরফেই ছোড়া হয়েছে ওই মর্টারগুলি। এই হামলায় অন্তত চার জন সেনা জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাত্র দিন কয়েক আগেই ইরানের সেনাকর্তা আমির আলি হাজিজাদেহ হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁরা চাইলে মার্কিন হামলার জবাবে প্রথম আঘাতেই পাঁচ হাজার মার্কিন সেনাকে খতম করতে পারতেন। তার পরেও আমেরিকা ফের হামলা করায় ক্রমে যেন যুদ্ধপরিস্থিতি ঘনাচ্ছে।

জানা গিয়েছে, এরমধ্যেই ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার বোঝাপড়ার কারণে এই মুহূর্তে হয়তো খুব বেশি আগ্রাসী হবে না আমেরিকা। কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে কখন কোন পাশা উল্টে যায়, তা কেউ জানে না। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। মার্কিন ড্রোন হানায় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুর পরে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে। এর বদলা নিতে ইরান শুরু করে প্রত্যাঘাত। সম্প্রতি ইরাকে দু'টি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে এক ডজন মিসাইল হামলা চালায় তেহরান। এরপর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই হুমকির সুরে বলেছিলেন, 'মিসাইল হামলা শুধু আমেরিকার গালে থাপ্পড় ছিল। বদলা এখনও বাকি।' সেই আবহে ইরাকের আরও একটি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটল। আরও পড়ুন-Sultan Qaboos Bin Said Died: দীর্ঘ শাসনের অবসান, প্রয়াত ওমানের সুলতান কাবুস বিন সৈয়দ

ইরান যে এখনই হামলার পরিস্থিতি থেকে কিছুতেই পিছু হটছে না তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সতর্কতা অবল্মবন করতে ভোলেনি। ইরানের সঙ্গে সম্প্রতিক তিক্ততার জেরে সম্প্রতি ইরাকের মাটিতে আরও সতর্ক হয়েছে পেন্টাগন। যে কারণে এই ঘাঁটি থেকে অধিকাংশ মার্কিন সেনাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকারকে সহায়তার জন্য ইরাকের বিভিন্ন ঘাঁটিতে বর্তমানে প্রায় ৫,০০ মার্কিন জওয়ান মোতায়েন আছেন।