কক্সবাজার, ১১ ফেব্রুয়ারি: বঙ্গোপসাগরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ডুবল মালয়েশিয়াগামী যাত্রীবাহী ট্রলার (Rohingya Boat)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১১ জন মহিলা ও ২জন শিশু। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ৬৫ জন জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সাত থেকে আট কিলোমিটার দূরে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের যাত্রীরা সবাই রোহিঙ্গা শরণার্থী। কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরই তাদের বাসস্থান। মূলত কাজের খোঁজে বেআইনি ভাবে তারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।
বাংলাদেশ উপকূল রক্ষীবাহিনীর সূত্রে খবর, গতকাল রাতে টেকনাফ উপকূল থেকে দুটি ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারাই মূলত এর যাত্রী। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের মাঝে আচমকাই কোনও বড় পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি ট্রলারের। সঙ্গে সঙ্গেই সেটি উল্টে যায়। এই ট্রলার ডুবির জেরেই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। ভোরবেলা যাত্রীদের বেশিরভাগই গভীর ঘুমে ছিলেন। সেই অবস্থাতেই তাঁদের সলিলসমাধি হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরাই জানান, দালালের হাত ধরেই সঞ্চিত অর্থের বিনিময়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। মূলত কাজের খোঁজেই এই বিদেশ ভ্রমণ। এদিকে ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছে বাংলাদেশ উপকূল রক্ষী বাহিনীর তিনটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। চলছে উদ্ধার কাজ। ঘটনাস্থলে রয়েছে সেন্ট মার্টিন বোট সমিতি, বিজিবি ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। আরও পড়ুন-Nepal: কফিশপে অগ্নিকাণ্ডের জের, রাতেই বন্ধ হয়ে গেল নেপালের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
এদিকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শিবির নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। কখনও বলা হয়, শিশু মহিলারা আচমকাই উদ্বাস্তু শিবির থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে শিশু ও নারী পাচার চক্রের যোগসাজশ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উদ্বাস্তু শিবিরের সঙ্গে অসাধু চক্রের যোগাযোগ গড়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় কিছু মানুষ। তাদেরই চিহ্নিত করার চেষ্টা করচে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন।