কলকাতায় চালু হল প্রথম বৈদ্যুতিক ফেরি (Electric Ferry)। দেশের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ভেসেলের পথ চলা শুরু হল এই বাংলায়। হুগলি নদীতে (Hooghly River) পথ চলা শুরু করেছে বিদ্যুৎ চালিত দ্রুততম ভেসেল। গত বৃহস্পতিবার আউট্রাম ঘাট থেকে ফ্ল্যাগ নেড়ে এই অত্যাধুনিক ই–ভেসেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হুগলি নদীর তীরে স্থানীয় মানুষজন এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করতে ভারতের প্রথম এবং দ্রুততম বৈদ্যুতিক ফেরি চালু করল পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)।
অত্যাধুনিক এই ই–ভেসেল গোটা দেশের মধ্যে প্রথম চালু হয়েছে বাংলায়। বিদ্যুৎ চালিত ভেসেল তৈরি করতে রাজ্যের খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ই-ভেসেলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। জলপথে যাতায়াত এবং ভ্রমণ দুই ক্ষেত্রেই ভীষণ কার্যকরী হবে এই বৈদ্যুতিক ফেরি। বাংলায় চলা দেশের প্রথম ই-ভেসেলের নামকরণ করা হয়েছে 'ঢেউ' (Dheu)। এই ই-ভেসেলটি তৈরি করেছে গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)।
দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ভেসেল 'ঢেউ'
বিদ্যুৎ চালিত ভেসেল 'ঢেউ' পরিবেশ-বান্ধব হওয়ার পাশাপাশি এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি। জলপথের এই যাত্রায় যাত্রীরা অনেক বেশি সুরক্ষিত এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও অনেক কমবে বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা। যাত্রীদের জন্যে এসি এবং নন-এসি উভয় ব্যবস্থাই থাকবে ই-ভেসেলে। এসিতে উঠতে পারবেন ৩০ জন যাত্রী এবং নন এসিতে ৬২ জন যাত্রী। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বেলুড় মঠ হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাবে এই ইলেকট্রনিক ফেরি ঢেউ।
পরিবেশ দফতরের এক অফিসার এই প্রসঙ্গে জানান, ১৫০ জন যাত্রী বহনকারী একটি সাধারণ লঞ্চ চালাতে ঘণ্টায় ১০ লিটার ডিজেল খরচ হয়। সেখানে ব্যাটারি চালিত এই ভেসেল একটানা দু ঘণ্টা বা ৩০ কিমি পর্যন্ত চলবে। যা অনেক বেশি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব।