কলকাতা, ১১ জুলাই: বর্ষার বৃষ্টিতে থইথই উত্তরবঙ্গ (North Bengal), আর জুলাই মাসের দ্বিতীয়সপ্তাহ কেটে গেলেও দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাব পড়েনি দক্ষিণবঙ্গে। উল্টোরতে ঝিরিঝিরি ধারা ঝরলেও বর্ষার বৃষ্টির দেখা নেই। কলকাতাতে তেমন বৃষ্টি নেই। তবে আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বিহার, ঝাড়খণ্ডের উপরে আরও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হচ্ছে, তার ফলে দক্ষিণেও কয়েক দিনে বৃষ্টি বাড়বে। কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায়। সমুদ্রে মৎসজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। আরও পড়ুন- West Bengal: রাজ্যের বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়, বেতন বেড়ে কত হচ্ছে জানেন
এদিকে বর্ষার বৃষ্টিতে উত্তাল গোটা উত্তরবঙ্গ। কয়েক দিন ধরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির কারণে ফুঁসছে পাহাড়ের নদীগুলি। বৃষ্টির জেরে ধস এবং গাছ ভেঙে উত্তরের জেলাগুলিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আপাতত বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিলছে না। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং জেলায় আরও কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাঞ্জাব থেকে উত্তরপ্রদেশ-বিহার হয়ে এ রাজ্যে উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। তার জেরে আগামী রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। এরাজ্য ছাড়াও সিকিম, অসম, মেঘালয়েও বৃষ্টি চলবে। এখনই বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে পাহাড়ের নদীগুলি। আগামী কয়েক দিন লাগাতার বৃষ্টি হলে আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হতে পারে। সে কারণে আবহাওয়া দপ্তর চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে। শুধু পাহাড়ের জেলাগুলিতেই নয়, দুই দিনাজপুর এবং মালদাতেও এর প্রভাব পড়বে।
উত্তরে যখন বর্ষা ঋতু ডালি ভরে দিচ্ছে, দক্ষিণে তখন শুধুই হাহাকার রতের মেলার পাপড়ে পড়ছে না জলের ফোটা। ঝির ঝিরে বৃষ্টিতে প্যাচপেচে কাদা, কিন্তু প্রকৃতিকেযান্ডা করে দেওয়া প্রাণ জুড়নো বৃষ্টির দেখা নেই। দক্ষিণবঙ্গের বর্তমান আবহাওয়ার যা হালহকিকত তাতে বৃষ্টি এবার ঘাটতির তালিকায় সেরার জায়গা নেবে।