বোলপুর, ২৫ অগস্ট: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌষ মেলা প্রাঙ্গণের পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি এখনও টলমল। মঙ্গলবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। যেখানে দাবি করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীদের নিয়মিত ভয়াবহ হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং বিশেষত মহিলা সহকর্মীদের মৌখিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। অতএব, তারা বাড়ি থেকেই কাজ করবেন। ৩১ আগস্ট পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
১৭ অগস্ট পৌষমেলার (Poush Mela) মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাঁধে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টানতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, 'নিরাপত্তা মজবুত করার জন্য বিশ্বভারতী চত্বরে ফেন্সিং তৈরি করা হচ্ছে। এতে করোর কোনও সমস্যা হবে না।' পৌষমেলার মাঠ ঘিরে রাখার জন্য পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। আরও পড়ুন, রবীন্দ্রনাথ নিজেও বহিরাগত ছিলেন, রাজনৈতিক উস্কানিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর হয়, চিঠিতে অভিযোগ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
Our colleagues are regularly threatened with dire consequences & are subjected to verbal abuse especially our female colleagues. Therefore, they will work from home. We will review the situation on August 31: Visva-Bharati University, West Bengal pic.twitter.com/eUPcntoBXh
— ANI (@ANI) August 25, 2020
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, বিশ্বভারতীতে ভাঙচুরের নেপথ্যে ছিল রাজনৈতিক মদত। রাজনৈতিক মদতেই ভাঙচুর চালানো হয়েছে ঐতিহ্যের বিশ্বভারতীতে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথও ছিলেন বহিরাগত, আশ্রমকে ভালোবেসে থেকে গিয়েছিলেন। কোনও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিশেষ স্বার্থ, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতীদের হুমকি তাদের অধিকার প্রয়োগকে বিরত রাখতে পারে না।