দুর্গাপুর, ২৩ এপ্রিল: কমিশনের নির্দেশ মেনে কোভিড পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর থেকে ভার্চুয়াল সভা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলা দুয়োরানি। ভোটের সময় বাংলা থেকে ভোট নেবে আর অক্সিজেনের সময় বাংলা থেকে অক্সিজেন কেন টেনে নিয়ে যাবে? লকডাউন করলেই যদি সব সমস্যা সমাধান হয় তাহলে তো হলেই যেত। লকডাউন নিয়ে আমাদের তেমন কোনও চিন্তা ভাবনা নেই। লকডাউন করলে গরিব মানুষ না খেতে পেয়ে মরে যাবে। চোখের আলো নামের একটা স্কিম আনছে মমতার সরকার। এখানে বিনা পয়সায় চোখের চিকিৎসা ও চশমা দেওয়া হবে। টাকা হোস পাইপের মতো দিচ্ছে। কোভিডের চিকিৎসার কোনও ওষুধ নেই। কমিশন বিজেপির এসপি, প্রশাসনিক কর্তা বসিয়েছে। তারা বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তবে সরকারি কর্তাদের উচিত সবার জন্য কাজ করা। আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিটের অক্সিজেন এখন স্বাস্থ্য খাতে কাজে লাগাচ্ছি।” আরও পড়ুন-WB Weather Update: মেঘভাঙা রোদ্দুরের মাঝে মহানগরীতে ঝড়বৃষ্টির পূ্র্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেন মমতা। বলেন, “কেন্দ্র বাংলাকে ভাতে ও হাতে মারতে চায়। সেল অক্সিজেন তৈরি করে বাংলায়। সেই সেলকে সরিয়ে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হল। বাংলার মানুষ অক্সিজেন পাবে না? ইঞ্জেকশনটার দাম ১৫০ টাকা। ২০ হাজার কোটি টাকা হলে সারা ভারতের মানুষের প্রয়োজনীয় ইঞ্জেকশনের দাম উঠে আসে। পিএম কেয়ার ফান্ডে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা উঠেছে। সেখান থেকে এর জন্য টাকা দিতে পারছে না? মূর্তি তৈরি করতে, লোকসভা তৈরি করতে কত খরচ হয়, আর এই ওষুধের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে পারছে না?এক সেকেন্ড তো টাকা দিতে লাগে। করোনার টিকা ভারতে তৈরি হল। প্রস্তুত টিকার ৬৫ শতাংশ বিভিন্ন দেশকে দিয়ে দিল কেন্দ্রের সরকার। দেশে ওষুধ নেই হাহাকার চলছে। আর অন্যান্য দেশে সেসব ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থা, শুধু প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দিলে তো হবে না। বন্দোবস্তও করতে হবে। WHO-র নির্দেশিকা মানেনি কেন্দ্র। গত বছরই WHO অক্সিজেন সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লিকে। কিন্তু কেন্দ্র তাতে গা করেনি।”
“মানুষকে ভোটটা দিতে হবে। ভোট দিতেই হবে। ভোট দেওয়া আমাদের জন্মগত অধিকার। ভোট না দিলে এই সরকার করতে পারে না এমন কোনও কাজ নেই। কোভিড যাদের হয়েছে ভয় পাবেন না। যার বেশি বাড়াবাড়ি নয়, তিনি বাড়িতে থাকুন। আগের বারেও কোভিড আমরা সামলে নিয়েছি। এবারেও সামলে নেব। সংখ্যা নিয়ে ভয় পাবেন না।”