বড়বাজারের (Barabazar) মেছুয়ায় হোটেল আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতেইি তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশে ফরেন্সিক বিভাগ, দমকল বিভাগের তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঠিক কী কারণে আগুন লাগল সেই বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও হোটেল কর্তৃপক্ষের একাধিক গাফিলতি নজরে এসেছে তদন্তকারীদের। জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় কোনও অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বা ফায়ার অ্যালার্ম কাজ করেনি। ফায়ার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ৩ বছর আগেই, যা নবীকরণ করার কথা পর্যন্ত ভাবেননি মালিকরা।

দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অনেকের

বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন দমকলের ডিজি রণবীর কুমার। তিনি জানান, হোটেলের একতলায় সংস্কারের কাজ চলছিল। কমপক্ষে ১০০ স্কোয়ার মিটারের কাজ চলছিল। সেই কারণে প্লাইউড দেওয়া ছিল বিভিন্ন এলাকায়। সেই কারণে তিনতলা ও চারতলা থাকা লোকজনেরা নীচে নামতে পারেননি। যে কারণে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অনেকের। এমনকী অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও কাজ করছিল না বলে জানান রণবীর কুমার।

সংস্কারের কাজ চলছিল হোটেলে

সূত্রের খবর, পুরো হোটেলের কোথাও না কোথাও বেআইনিভাবে সংস্কারের কাজ চলছিল। দোতলায় পাণশালা তৈরি হচ্ছিল। যার কাজ চলছিল গত তিনমাস ধরে। এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছিল। কারণ ওই এলাকাতেই স্কুল, ধর্মশালা, মন্দির ইত্যাদি রয়েছে। কিন্তু কারোর কথাই কর্ণপাত করতেন না হোটেলের দুই মালিক। তদন্তে উঠে আসছে ঘটনার সময় দোতলা ও একতলার সংযোগস্থলে মজুত ছিল একাধিক নির্মাণ সামগ্রী। সেই কারণে অনেকেই সেগুলি পেরিয়ে বেরোতে পারেননি, এমনকী দমকল কর্মীদেরও ঢুকতে অসুবিধা হয়েছিল।

দেখুন দমকল আধিকারিকের বক্তব্য

পলাতক দুই অভিযুক্ত

এদিকে হোটেলে কোনও বাতালুকুল ব্যবস্থা ছিল না। তারপরেও একাধিক লবিতে মোটা কাঁচ লাগানো ছিল, কিংবা বেশ কয়েকটি জানলা সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা ছিল। যার ফলে দমকল কর্মীরা বাইরে দিয়েও ঢুকতে পারছিলেন না। ঘটনার পর হোটেলের ম্যানেজারকে আটক করা হলেও দুই মালিকের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। যদিও দুজনই পলতাক রয়েছে। তল্লাশি অভিযানে মালিকদের হাওড়ার বাড়িতেও হানা দেয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।