
কলকাতাঃ কলকাতার হোটেলে (Kolkata Hotel) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড(Fire)। আগুনে ঝলসে মৃত্যু ১৪ জনের। এই ঘটনার জেরে দিল্লির (Delhi) সমস্ত কর্মসূচি কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার আগে এই অসময়ে রাজ্যে কেন উপস্থিত নেয় মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত। উল্লেখ্য, আজ ৩০ এপ্রিল দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের জন্য সোমবার থেকে দীঘায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে সুকান্ত বলেন,"গতকাল, বড়বাজারের মেছুয়া এলাকার একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যেখানে ১৪ জনেরও বেশি নিরীহ মানুষের মর্মান্তিক প্রাণহানি হয়েছে! আহতের সংখ্যা আরও বেশি। অনেকে এখনও জীবনের জন্য লড়াই করছেন। রাজ্যে এত হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নীরবতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে।"
কলকাতার হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে বলে দাবি সুকান্তর
বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, "আজ, মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় জগন্নাথ ধামের দিনব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যস্ত। এদিকে, কলকাতায় এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণে অসংবেদনশীলতা এবং ব্যর্থতা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। যখন নিরীহ ও অসহায় মানুষ অসহ্য যন্ত্রণায় মারা যাচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা জন্য ধর্মের সাহায্য নিচ্ছেন।" এখানেই শেষ নয়, এই অবস্থায় তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি হিসেবে, আমি বিজেপির প্রতিটি কার্যকর্তাকে, আমাদের দলের প্রতিটি ভাইবোনকে অবিলম্বে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে পাশে থাকব। আসুন আমরা সবাই মিলে এই কাজে হাত লাগাই।
অসময়ে দীঘায় কেন বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা
Yesterday, a devastating fire broke out at a hotel in the Mechhua area of Burrabazar, claiming the tragic lives of more than 14 innocent people! The number of injured is even higher. Many are still battling for their lives. Yet, serious questions are being raised about the… pic.twitter.com/Pzz7FJ64RS
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) April 30, 2025