নীতি আয়োগের (NITI Aayog) বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বক্তব্যের সময় বন্ধ হয়ে যায় মাইক। রেগে গিয়ে বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে আসেন তিনি। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টির নেতানেত্রীরা এই নিয়ে মমতাকেই সমর্থন করছেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বও এই নিয়ে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা শুরু করেছে। এদিন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy) বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়েছিলেন। তিনি মাত্র ৫ মিনিট বলার সুযোগ পেয়েছেন। যখনই বাংলা নিয়ে তিনি বলতে চেয়েছেন তখনই ৫ মিনিটের মধ্যে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এটা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপমান নয়, এর মাধ্যমে গোটা বাংলাকে অসম্মান করা হয়েছে"।

শনিবার বৈঠকের মাঝে মমতা বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁকে ৫ মিনিটের বেশি কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। উপরন্তু তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। অথচ তাঁর বক্তব্য পেশের আগে আরও কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে কথা বলেন এবং সকলের মাইক ঠিক ছিল। শুধুমাত্র তাঁর মাইকেই সমস্যা হয়েছে। নীতি আয়োগের বৈঠকে বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এই বৈঠক বয়কট করেছিলেন বিরোধী শাসিত ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, কেরল, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এমনকী ইন্ডিয়া জোটের নেতারাও মমতাকে বৈঠক বয়কট করার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু মমতার মতে, আদে যেগেতু বৈঠকে যোগ দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন সেই কারণেই তিনি এদিন এসেছিলেন।