কলকাতা, ২ নভেম্বর: লোকাল ট্রেন (Local Train) চালু করা নিয়ে আজ রাজ্য সরকার এবং পূর্ব রেলের মধ্যে ছিল বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন পূর্ব রেলের এজিএম, হাওড়া-শিয়ালদার ডিআরএম। রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে নবান্নে খড়গপুরের ডিআরএম সহ পদস্থ আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে জানানো হয়, স্বাস্থ্য বিধি মেনে খুব শীঘ্রই চালু করা হবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। আগামী ৫ নভেম্বর আরও একটি বৈঠক হবে। সেখানে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে রেলের প্রস্তাব, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে ট্রেন।
মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জি (Alapan Banerjee) জানান, একটি ট্রেনে ১২০০-র বদলে ৬০০ যাত্রীর ভাবনা করা হচ্ছে। কিছু ট্রেন গ্যালোপিং হবে। মেট্রোর মতো লোকালেও ই-পাস চালুর ভাবনাও চলছে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন দিয়ে শুরুর পক্ষপাতী রেল। কোন স্টেশন কোন ট্রেন দাঁড়াবে, তা নিয়েও আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন, ধরাছোঁয়ার বাইরে সবজি-নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, ১ বছরে ১০৮% বাড়ল আলুর দাম
আজ হুগলির বৈদ্যবাটিতে আজও লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে আজ সকাল ৮টা থেকে রেল অবরোধ করেছেন যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিরাট পুলিশ বাহিনী। সাত মাসেরও বেশি হয়ে গেল বন্ধ রয়েছে রাজ্যের লোকাল ট্রেন পরিষেবা (Local Train Service)। পশ্চিমবঙ্গের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে পড়ুয়া, সরকারি, বেসরকারি চাকুরে প্রায় সকলেরই একমাত্র লাইফ লাইন লোকাল ট্রেন। শনিবার সন্ধ্যায় যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে হাওড়া স্টেশন। এদিন সন্ধেয় কয়েকশো যাত্রী ট্রেনে চড়তে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান হাওড়া স্টেশনে। তাঁদের দাবি, রুটি রুজির টানে ঘরে থেকে বেরিয়েছি। এখন ফিরব কীভাবে। এদিন কোনওক্রমে গেট বন্ধ করে, লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় রেল পুলিস। রেলের দাবি, ওই ট্রেন স্টাফ স্পেশাল। সেখানে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দেওয়ার অনুমতি নেই। ওই ঘটনার পরই লোকাল ট্রেন চালাতে চেয়ে রেলকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার।