কলকাতা, ১৭ সেপ্টেম্বর: আরজি কর কাণ্ডে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে নির্যাতিতার বাবার চিঠি। আজ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে এমন কথাই জানিয়েছেন বিচারপতি। এদিন সন্ধ্যায় সংবাদসংস্থা ANI-র সাংবাদিকের সামনে নির্যাতিতার বাবা জানালেন, " যে সব জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিবাদ করছেন, তারা আমার সন্তানের মত, আমাদের ওদের দেখে কষ্ট হচ্ছে। যে দিন অপরাধী শাস্তি পাবে, সেদিন আমাদের সবার জয় হবে।" এরপর আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, "২০২১ সালেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল, সেই সময়ই ওর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থকা নিলে আজ হয়তো আমার মেয়েটা বেঁচে যেত।"
সিবিআই তদন্ত নিয়ে বলতে গিয়ে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা বললেন, "যে বা যারা আমার মেয়ের খুন করেছে অথবা যারা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সিবিআই ওদের কাজ করছে। আমরা ওদের তদন্ত নিয়ে কিছু বলতে পারব না।"
দেখুন কী বলছেন নির্যাতিতার বাবা
West Bengal | Kolkata's RG Kar rape and murder incident | Victim’s father says, "CBI is doing its job, we cannot say anything about this (investigation)... Whoever is connected to this murder in some way or those who are involved in tampering with evidence, all are under… pic.twitter.com/c7VUjEjwAj
— ANI (@ANI) September 17, 2024
মেয়ের মৃত্যুর পর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কার্যত ক্ষুব্ধ তরুণী চিকিৎসকের বাবা। ১২ সেপ্টেম্বর সিবিআইকে(CBI) চিঠি দিয়েছলেন নির্যাতিতার বাবা। আর সেই চিঠিই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়(DY Chandrachud)। নির্যাতিতার বাবার এই চিঠিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এদিন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "নির্যাতিতার বাবার চিঠিতে গুরুত্বপূর্ণ লিড রয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হোক। একইভাবে যদি কোনও ইনপুট ডাক্তাররা দিতে চান তাও খতিয়ে দেখবে সিবিআই।"
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিক বার মুখ খুলেছেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর কথায় বারবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর অভিযোগ, "মেয়ের দেহ তড়িঘড়ি করে দাহ করানো হয়। পুলিশ আমাদের ঘিরে রেখেছিল। হাসপাতালে আমাদের ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়,আমার মেয়ের মুখটা পর্যন্ত দেখতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের হাতেপায়ে ধরতে বাধ্য হই।" তিনি আরও বলেন, "প্রথমে পুলিশি তদন্তে বিশ্বাস রেখেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তবে পুলিশি তদন্ত সেভাবে এগোয়নি।" এরপর সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দিলে সবটা জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি দেনে নির্যাতিতার বাবা।