কলকাতা, ২৩ জানুয়ারি: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভাড়া (Fare) বৃদ্ধির দাবি জানাল বেসরকারি বাস (Bus) মালিকদের সংগঠনগুলি। ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে আগামী মাসে আন্দোলনে নামতে চলেছেন বাস মালিকরা। বর্তমানে সাধারণ বেসরকারি বাসে (নন-এসি) ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা। এক ধাক্কায় তা ২ টাকা বাড়িয়ে ৯ টাকা করার দাবি উঠেছে। আর বাস মালিকদের এই দাবিকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে লাক্সারি ট্যাক্সি সংগঠন। সরকার তাদের দাবি পূরণ না করলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। আপাতত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ৫ ফ্রেবুয়ারি থেকে টানা তিন দিন ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থানে বসতে চলেছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট (Joint Council Of Bus Syndicates)।
এই সময়ের খবর অনুযায়ী, রাজ্যে শেষবার বাসের ভাড়া বেড়েছিল ২০১৮ সালের জুন মাসে। দীর্ঘ চার বছর পরে সেই বার প্রতিস্তরে বাসের ভাড়া ১ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যার ফলে এখন বাসে উঠলেই ভাড়া দিতে হচ্ছে ৭ টাকা। আর মিনিবাসের ক্ষেত্রে তা দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা। এ বার সাধারণ বাসের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ভাড়া অন্তত ২ টাকা বাড়িয়ে ৯ টাকা করার দাবি জানিয়েছে রাজ্যের বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। তাদের যুক্তি, শেষ বার বাসের ভাড়াবৃদ্ধির পরে তেলের দাম বিপুল বেড়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আনুসাঙ্গিক খরচ। যে তুলনায় বর্তমান ভাড়ায় বাস চালাতে গিয়েছে মালিকদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। যে কারণে ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া আর কোনও পথ নেই। আরও পড়ুন: Indian Railways: যাত্রীদের একঘেয়েমি কাটাতে সিনেমা এবং ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ আনছে রেল
এ দিকে, ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলেছেন রাজ্যের লাক্সারী ট্যাক্সি মালিকরাও। তাঁদের বক্তব্য, দাবি বহু দিন ধরে লাক্সারি ট্যাক্সির ভাড়া বাড়েনি। অথচ জ্বালানি-সহ সমস্ত খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছে এই শিল্প। যে কারণে ন্যূনতম ভাড়া ১,৫০০ টাকা করার দাবি লাক্সারি ট্যাক্সির মালিকপক্ষের।
ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে গত ৯ ডিসেম্বর থেকে শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বেশ কয়েকটি বাস সংগঠন। মোট ২৭ রুটে বাস-মিনিবাস ধর্মঘটের সামিল হওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ধর্মঘটের পথ থেকে সরে আসে বাস সংগঠনগুলি। নতুন বছরে ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে নতুন করে সুর চড়াচ্ছে তারা। এর ফলে আগামিদিনে সাধারণ যাত্রীদের চরম সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা।