প্রশান্ত কিশোর ও তৃণমূল (Picture Credits: Twitter/ Wikimedia Commons)

কলকাতা, ২১ নভেম্বর: আগামী বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) জন্য তৃণমূলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন পলিটিকাল স্ট্রাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। নড়বড়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) শিকড় শক্ত করতে যে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তার পাঁচ মাস কেটে গেছে। টানা পাঁচ মাস (After Five Months) পর প্রশান্ত কিশোর এবার ফলপ্রকাশ (Report) করলেন। অর্থাৎ কী উন্নতি বা অবনতি হল তাই দেখালেন রিপোর্ট কার্ডে।

২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, পিকের রিপোর্টে জানা গেছে উত্তরবঙ্গে ফিরছে তৃণমূল। গত ২৩ মে লোকসভা (Loksabha) নির্বাচনের ফল বের হয়েছিল। ফল বেরতেই দেখা যায় গেরুয়া ঝড়ের দাপটে উত্তরবঙ্গে কার্যত দুমড়ে মুচড়ে গেছিল তৃণমূলের ফলাফল। উত্তরবঙ্গের ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৪টি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজগঞ্জ, সিতাই, শীতলকুচি ও চোপড়া-এই ৪ কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও সেভাবে দাগই কাটতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন, অমিত শাহকে বিঁধলেন প্রশান্ত কিশোর; দেশজুড়ে ১৫জন অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী, কীভাবে সম্ভব এনআরসি?

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে যে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বার বার ছুটে গিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। সেখান থেকে তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হয়। এরপরই হারের কারণ খুঁজে বের করতে দলের ভিতর 'তদন্ত' হয়। সেই তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদল করা হয়।

এরপর ২৯ জুলাই থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। বিধায়কদের কর্মসূচি বেধে দেওয়া হয়। তারপর কাউন্সিলর থেকে ব্লক স্তরের নেতাদেরও কিছু কর্মসূচি দেওয়া হয়। এখন ৪ মাস পর প্রশান্ত কিশোরের রিপোর্ট বলছে, উত্তরবঙ্গে ফিরছে তৃণমূল। আগের অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ১০টি কেন্দ্র রয়েছে। দেখা গেছে ১০টির মধ্যে ৬টি কেন্দ্রে উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায় তৃণমূলের হারানো জমি উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনে হারের পর দেখা গিয়েছিল, উত্তরবঙ্গে দলাদলির জন্য ভোট হারিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি আদিবাসী ও জনজাতি ভোটও তৃণমূলের হাত থেকে বেড়িয়ে যায়। সেই কারণে প্রত্যেক বিধায়কের কাছ থেকে আলাদা আলাদা করে তফশিলি জাতি ও উপজাতি তালিকা চাওয়া হয়। সেই তালিকাও জমা দেন বিধায়করা। তবে সেই তালিকা খারিজ করে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। নতুন করে আবার তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।