কলকাতা, ১৭ মে: আজ, সোমবার সকালে নারদ কাণ্ডে (Narada Case) নয়া নাটকীয় মোড়। গ্রেফতার করা হল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra), কলকাতার প্রাক্তন মেয়র-বিধায়ক শোভন চ্যটার্জিকে। আসুন দেখে নেওয়া যাক নারদ কাণ্ডে গত কয়েক বছরে কী কী গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে--আরও পড়ুন: Firhad Hakim Arrested: নারদা মামলায় ‘গ্রেপ্তার’ ফিরহাদ হাকিম, বাদ গেলেন না মদন, শোভন ও সুব্রত
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে নারদা স্টিং অপারেশনের ফুটেজ। ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ বিজেপি-র রাজ্য দফতরে বড় ভিডিও স্ক্রিনের মাধ্যমে দেখানো হয় পুরো ফুটেজ। ভিডিওতে দেখা যায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক-নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy), রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, তৎকালীন তৃণমূল মন্ত্রী, বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক-বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, তৎকালীন মেয়র-মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র,মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুলতান আহমেদ, ইকবাল আহমেদ, পুলিশ আধিকারিক এমএইচ আহমেদ মির্জা অর্থ নিচ্ছেন। যদিও সেই ভিডিও সত্যতা সেই সময় বিচার করা হয়নি।
এরপর নারদ মামলায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ১৭ মার্চ কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই বছর এপ্রিলে নারদ স্টিং অপারেশন ফুটেজের সত্যতা প্রমাণে হারদরাবাদে সিএফএসএল-এ পাঠানোর নির্দেশ আদালতের। জুনে নারদ কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক দিন বাদে সেই স্টিং অপারেন করা ম্যাথু স্যামুয়েলসকে সমন করে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতারির আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ম্যাথু। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে মমতা সরকার। তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে সিবিআইকে এক মাস সময় দেয় তদন্ত চালানোর জন্য।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। রাজ্যপালের অনুমোদনের পরই পদক্ষেপ করল সিবিআই। ২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট অভিযুক্তদের আইনজীবীদের কাছে জানতে চায়, রাজ্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেনি। ফলে কেন তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে না। ২০১৭, ১৭ মার্চ নারদ তদন্ত সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। রাজ্যপালের অনুমোদনের পরই পদক্ষেপ করে সিবিআই। ২০১৭, ২০ জানুয়ারি মামলার শুনানি শেষ। ঘটনা সামনে আসার পাঁচ বছর গ্রেফতারি। একটা বিধানসভা ভোটের আগে ঘটনা সামনে এসেছিল, আর গ্রেফতারি হল পরবর্তী বিধানসভার ফলপ্রকাশের পর।