রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজভবনের (Raj Bhawan) অন্দরে রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন খোদ রাজ্যপালের (Governor) বিরুদ্ধে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত করার ক্ষমতা নেই পুলিশের। তাই প্রাথমিকভাবে মহিলার অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন (Special Enquiry Team) করেছে লালবাজার। রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চেয়ে শনিবারই রাজভবন ওসি-কে চিঠি লিখেছে তদন্তকারী দল। জানা যাচ্ছে, রাজভবনের অন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রাজভবনের চারজন কর্মীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদিন বিকেল ৪টার মধ্যে তাদের হেয়ার স্ট্রিট থানায় হাজির হতে বলে হয়েছিল।
রাজভবনে কর্মরতা অস্থায়ী মহিলা কর্মীর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোলা শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল ডিভিশন) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।
অন্যদিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার ওই মহিলা কর্মীর অভিযোগ সামনে আসার পর রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, রাজ্যপালকে কালিমালিপ্ত করতে এই মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিজেপির তরফে পালটা অভিযোগ, সন্দেশখালির ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে এইসব করছে শাসক দল।
কলকাতা পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্তে বিশেষ দল (Special Enquiry Team) গঠন করা হলেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার এক্তিয়ার পুলিশের নেই। কারণ সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার তদন্ত করতে পারে না পুলিশ। এমনকি সেই নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আদালত কিংবা রাজ্য কারুর হাতেও নেই। একমাত্র সেই ক্ষমতা রয়েছে সংসদের হাতে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্যে প্রথমে নিম্নকক্ষে প্রস্তাব পেশ করতে হবে। লোকসভায় প্রস্তাব পাশ হলে তা এরপর যাবে রাজ্যসভায়। সংসদের উচ্চকক্ষেও যদি সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় তাহলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করা সম্ভব বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।