
নয়াদিল্লিঃ পহেলগাঁও জঙ্গি হানার (Pahalgam Terror Attack) জেরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে (India-Pakistan Relation) নতুন করে চাপানউতোর। একপ্রকার তলানিতে ঠেকেছে দুই পড়শি দেশের সম্পর্ক। সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পহেলগাঁও গণহত্যা কাণ্ডের পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধ সমস্ত ব্যবসা বাণিজ্য। পাশাপাশি বাতিল করা হয়েছে সমস্ত পাক ভিসা। ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে মোদী সরকার। এই আবহে সীমান্তে পারাপারের ভিড় দেখা গিয়েছে।
ভারত ছাড়ার আগে কী বলছেন পাকিস্তানি মহিলা?
ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন বহু পাকিস্তানি নাগরিক। ভারতে বেড়াতে এসে কয়েকদিনের মধ্যে দেশে ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে। কেউ আবার নিজের দেশ পাকিস্তান ছেড়ে ভারতেই পাকাপাকি থাকা শুরু করেছিলেন এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। এই মানুষজনের তালিকায় রয়েছেন সামরিন নামে এক তরুণী। তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। মাত্র ৪৫ দিনের ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। ভারতীয়কে বিয়ে করে সদ্য সংসার পাতেন। কিন্তু মোদী সরকাররে ভিসা বাতিলের নির্দেশ আসার পর এখন ভারত ছাড়তে হচ্ছে তাঁকে। সদ্য সাজানো সংসার ফেলে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সময় তাঁর চোখের কোনায় জল। সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমর মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "আমি গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে আসি। আমার ৪৫ দিনের ভিসা ছিল। তারপর এখানে আমার বিয়ে হয়। দীর্ঘমেয়াদি ভিসা এখনও পাইনি তার আগে এই নির্দেশ এল। আমায় এখন পাকিস্তানে ফিরে যেতে হচ্ছে। আমাদের কী দোষ? আমাদের কেন এভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে? জঙ্গিদের শাস্তি দেওয়া হোক।" সেই সঙ্গেই ভারত সরকারের কাছে, এদেশে যাঁদের আত্মীয় রয়েছে তাঁদের থাকতে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সামরিন।
চোখের কোনে জল নিয়ে মোদী সরকারের কাছে বিশেষ আর্জি সদ্য বিবাহিতা সামরিনের
#WATCH | Punjab: Samreen, a Pakistani national returning to Pakistan via Attari Border, says, "I came here in September with a 45-day Visa. After that, I got married here. I have not got my long-term Visa yet, and now suddenly I have been asked to leave the country. The… pic.twitter.com/WjCMm1wymH
— ANI (@ANI) April 29, 2025