নন্দীগ্রাম, ১ এপ্রিল: আজ মহারণ, রাজ্যের ভরকেন্দ্র নন্দীগ্রামে সকাল থেকে শুরু হয়ে গেছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ (WB Assembly Elections 2021)। হেভিওয়েট দুই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু সকাল সকাল ভোট দেন। ভোট দিয়ে বেরিয়েই তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেছেন। মার্জিন কী বলা ঠিক হবে না। বাকিটা ভোটারদের ওপর ছেড়ে দিন। ২০০৯ সাল থেকে সাংসদ, জমি আন্দোলনে ছিলাম। সবার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক আমার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ চিনত না। কংগ্রেস ভেঙে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় ওঁকে সবাই চিনেছে।” স্বাধীন বাংলায় এই প্রথম নন্দীগ্রাম দেখছে দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বির মহাটক্কর। দুই পোড় খাওয়া রাজনীতিকের মাঝে তারুণ্যের স্পর্ধা নিয়ে হাজির মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: ধোপদূরস্ত পাঞ্জাবিতে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় প্রথম ভোট দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
খোদ মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের প্রার্থী। তাঁর একদা সহযোদ্ধা শুভেন্দু আবার বিজেপির হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে আসীন। এই নন্দীগ্রাম হয়ে সিঙ্গুরের পথে ২০১১ সালে মহাকরণে পৌঁছেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার ঠিক ১০ বছর পর আরও একটা লড়াইয়ে তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রামে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সেদিনের সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাম্প্রতিককালে রাজ্য রাজনীতি এমন মহাযুদ্ধ দেখেনি! মমতাকে নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলার জনপ্রিয় রাজনীতিকদের মধ্যে অন্যতম। মেদিনীপুর আবার অধিকারীদের গড়। সেই পরিবারের মেজো ছেলে শিবির বদলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আধ লাখ ভোটে হারাবেন তাঁর প্রাক্তন নেত্রীকে।
এদিকে ২০১৬ সালে নন্দীগ্রামে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬২৩টি ভোট পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের ঝুলিতে গিয়েছিল ৫৩ হাজার ৭১৩টি ভোট। জয়ের ব্যবধান ৮১, ২৮০। সেবার মাত্র ১০,৭১৩টি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। ঠিক ৩ বছর পর লোকসভা ভোটে ধস নামে, ফুলেফেঁপে ওঠে গেরুয়া শিবির। পাটিগণিতের সাধারণজ্ঞান বলছে, বাম ভোট পড়েছিল রামের ইভিএমে। একই ধারা কি বজায় থাকবে বিধানসভা ভোটেও? এতটা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মার সঙ্গে পরিসংখ্যানও আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে বিজেপিকে (BJP)।