মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo Credits: Social Media)

বসিরহাট, ১২ এপ্রিল:  বসিরহাটে মোদিকে তুলোধনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন,  একটা প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর মতো ব্যবহার করতে হয়। উনি বক্তব্য রাখতে এসে কী ভাষায় কথা বলছেন। ঠাট্টা করেছেন। এখানে পাড়ার রকে বসে আড্ডা মারে যারা তারাও এত বাজে ভাষায় কথা বলে না। কোল বিক্রি করে দিচ্ছে, বিএসএনএল বিক্রি করে দিচ্ছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলছে। আর বিজেপি নেতারা বলছে চারজন কেন আটজন কে মারা হবে। এদের রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত না। এদের ব্যান করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিচ্ছেন আর ভ্যাংচাচ্ছেন। ভারতবর্ষ ভ্যাংচানো প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে, এটাই দুঃখের। বিলো দ্যা স্ট্যান্ডার্ড। আপনি মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রী। আগে আমার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ দিন নাহলে গদি ছেড়ে দিন। আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে শোভা পায় না। স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী করেছি তাই ভোট চাইছি। বিজেপি তুমি কী করেছো, গুন্ডামি। একটা করে ভোট দেবেন তারপর আমি দেখব দিল্লিতে এরা কী করে থাকে। এত স্পর্ধা।”  আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: ‘শীতলকুচিতে খুনের ঘটনায় তদন্ত করব, বিজেপি গো-হারা হারবে;’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

“নরেন্দ্র মোদির শুধু বড় বড় কথা। কিচ্ছু করেনি। বসিরহাট নতুন জেলা হবে। এখানে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। সেতু তৈরি হয়েছে অনেকগুলি। ইটভাঁটা চলছে, মাছের ভেড়ি চলছে। এবার আমরা জিতলে মায়ের মাসে মাসে ভাতা পাবেন। ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার খরচ সরকারের। যাতে তাড়া মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সরকার গদিতে বসে ২ কোটি মানুষের চাকরি খেয়ে নিয়েছে। এনআরসি করছে, এনপিআর করছে সিএএ করে মানুষে মানুষে দাঙ্গা করছে। ভোটের রাজনীতি করছে নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশকারী বলছে আবার ভোটের জন্য বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি। ভাল করে বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে দিতে হবে। হাতরাসের ইতিহাস ভুলে গেছ যোগী? মিথ্যেবাদী, লায়ার প্রধানমন্ত্রী। মোদি তুমি একটা লোককে বোকা বানাতে পারবে সবাইকে নয়। তুমি যদি এতই ভোট পাবে, তাহলে রোজ রোজ ডেলি প্যাসেঞ্জারি করছ কেন বাবা, বাংলা হবে না বাংলা দেব না। মনে রাখবে তোমরা জিরো পাবে জিরো।”

“লজ্জা করে না প্রধানমন্ত্রী, সমস্ত পাওয়ারকে ব্যবহার করে লোকালদের উপরে গুলি চালিয়েছো। আর একটা বিজেপি নেতা বলে চারজনের বদলে আটজনকে গুলি চালিয়ে দাও। আগে বলি তুই পদত্যাগ কর। তোর রাজনীতি করা উচিত না। তোকে জেলা থাকা উচিত। তুমি গুজরাটে উত্তরপ্রদেশে, দিল্লি তুমি নিজেকে কী মনে কর? তুমি চোরের চৌকিদার, গুন্ডাদের চৌকিদার। আর আমরা মানুষের পাহারাদার। মানুষের সুখে না থাকি দুঃখে আছি। একটা করে ভোট দেবেন আর বিজেপিকে ঝামা ঘষে দেবেন। বাংলা দখল না করলে ওর প্রেস্টিজ আর থাকছে না। তাই রোজ ছুটে ছুটে আসছে। দিল্লিও থাকবে না বন্ধু। বাংলাও পাবে না। দাঙ্গবাজদের বাংলা বাঁচায় না।”