কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পাশে দাঁড়িয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) একহাত নিলেন কুণাল ঘোষ এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁয় এক কর্মসূচিতে হাজির হয়ে কুণাল ঘোষ এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত কড়া সুরে আক্রমণ করেন কামারহাটির বিধায়ক। মদন মিত্র বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের রশি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান। তাঁর পরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। অভিষেককে আজ অর্জুনের সঙ্গে তুলনা করেন মদন মিত্র। অভিষেকের মতো নেতার বর্তমানে প্রয়োজন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মদন মিত্র।
মদন মিত্র আরও বলেন, দলের মুখপত্র হয়ে যাঁরা কথা বলছেন, তাঁদের বলে দেওয়া উচিত তাঁদের মুখ এবং পত্রটা কতদূর। তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর নেতৃত্বেই সবকিছু হবে বলে স্পষ্ট জানান মদন মিত্র। তৃণমূল কংগ্রেসকে যেন বিহারের আরজেডি কংবা উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি তৈরির চেষ্টা না করা হয় বলেও সতর্ক করেন মদন মিত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ে তাঁর সব সময় সঙ্গে রয়েছেন বলেও জানান বিধায়ক।
আরও পড়ুন: TMC: অভিষেককে সমর্থন করে কল্যাণকে খোঁচা, দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে 'চ্যাপ্টার ক্লোজড' করলেন কুণাল
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী দুমাস সমস্ত মেলা, খেলাসহ রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ রাখা উচিত। মানুষ বাঁচলেই তাঁরা বাঁচবেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সর্বভারতীয় সভাপতির ওই মন্তব্য না-পসন্দ বলে খোঁচা দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তিনি বলেন, সর্বভারতীয় সভাপতির পদ সর্বক্ষণের। এখানে কোনও ব্যক্তিগত মতামতের জায়গা নেই। অভিষেকের ওই মন্তব্য রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ করছে বলেও মন্তব্য করেন কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের সাংসদের ওই মন্তব্যের পর আসরে নামেন কুণাল ঘোষ। তিনি পালটা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থান দলে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মতো নেতা যদি কিছু বলেন, তাহলে দলের সাধারণ কর্মীদের তা শোনা উচিত।
এরপরই কুণাল ঘোষ এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকাশ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে ট্যুইট করে 'ক্লোজড চ্যাপটার' বলে বিতর্কে ইতি টানেন কুণাল ঘোষ।