কলকাতা, ২ আগস্ট: আর কয়েকটা দিন গেলেই পুজোর গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠবে সমগ্র বাংলা। অথচ বর্ষাকালটাই এবার আর দেখা হল না। শ্রাবণ শেষের পথে অথচ বৃষ্টিতে ভেজেনি দক্ষিণবঙ্গ। মাঝে কয়েক দিন অনিয়মিত বৃষ্টিপাত হলেও তা নিম্নচাপ ছিল না। ঘূর্ণাবর্তের জেরে হওয়া বৃষ্টিতের বর্ষার বৃষ্টির ঘাটতি মেটেনি। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী রবিবার থেকেই ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে। ফের নিম্নচাপের সম্ভানা তৈরি হওয়ায় আগামী দুদিন দফায় দফায় বৃষ্টি হবে। রবিবারই সেই বৃষ্টি নামবে একেবারে সাড়ম্বরে। আরও পড়ুন-দীর্ঘ খরা কাটিয়ে বর্ষায় ভিজছে দক্ষিণবঙ্গ, পর পর ঘূর্ণাবর্তের জেরে বৃষ্টি চলবে রাজ্যে
আলিপুর হাওা অফিসের খবর বলছে, অগস্টের ৪ তারিখ নাগাদ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে একটি নিম্নচাপ সক্রিয় হতে পারে। তার ফলে কলকাতা, হাওড়া, নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে ভালই বৃষ্টি হবে। শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশজুড়ে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে। বেলা বাড়তেই দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। দুপুরে মুষলধারে বারি ধারায় ভিজেছে শহর কলকাতা। এদিন পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি এবং হাওড়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। এদিকে ফলে আদ্রতা জনিত অস্বস্তি অনেকটাই কেটেছে। আগামীকালও দফায় দফায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
গরমে যখন সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ তেতে পুড়ে যাচ্ছে তখন বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে নাকাল উত্তরবঙ্গ-সহ গোটা দেশ। মুম্বই প্রথমে পরে গুজরাট সেখানে অতিবৃষ্টিতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। হিমাচল প্রদেশে টানা বৃষ্টির জেরে যেখানে সেখানে ধস নামছে। বাদ নেই ভূস্বর্গ কাশ্মীরও সেখানেও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ধস নেমে বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সিআরপিএফ জওয়ানরা ধসের কবল থেকে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করে আনছে।