প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

কলকাতা, ২০ এপ্রিল: কয়েকদিন আগেই কলকাতার নাইসেড ডিরেক্টর শান্তা দত্ত অভিযোগ করেছিলেন, সেখানে ১০ হাজার কিট পড়ে থাকলেও রাজ্য টেস্ট করাচ্ছে না। এবার উঠল পাল্টা অভিযোগ, নাইসেডের টেস্ট কিটে রয়েছে গোলমাল, তাই পরীক্ষার পরেও রিপোর্ট অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে। রবিবার দীর্ঘ টুইটে সেকথা জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে কীট মার্কিন মুলুক হয়ে পুনের ভাইরোলজির ল্যাব ঘুরে বিভিন্ন রাজ্যের হাতে এসেছিল। পুনের ল্যাবে সেই কিটগুলিকে স্ট্যান্ডার্ডাইজড করা হয়। তাই সেই সব কিটে হওয়া নমুনা পরীক্ষায় ফলাফলও মিলেছিল হাতে গরম। পরে কিট এলেও তা স্ট্যান্ডার্ডাইজড করা ছিল না। যার ফলে তাতে টেস্ট হলে রিপোর্টে গোলমাল থেকে যাচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই এর দায় গিয়ে পড়ে নাইসেড ও আইসিএমআর (ICMR)-এর কাঁধে। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে এই কিট স্ট্যান্ডার্ডাইজড করার লোক নেই। সেকারণেই রিপোর্ট অমীমাংসিত থাকছে বলে খবর। তবে সমস্যা যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই, এমনটা নয়। বাকি রাজ্যগুলি থেকেও কিট নিয়ে অভিযোগ আসছে লাগাতার। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে আইসিএমআর। সম্ভবত পুনের ল্যাবে একের পর এক টেস্ট হচ্ছে। কিটের চাহিদাও বাড়ছে, তাই সব কিট একসঙ্গে স্ট্যান্ডার্ডাইজড করার মতো সময় মিলছে না। আরও পড়ুন-Canada Shooting: লকডাউনের মধ্যে পুলিশের পোশাকে আততায়ী, এলোপাথাড়ি গুলিতে হত ১৩

এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে নবান্ন জানিয়েছে, নাইসেড-আইসিএমআর থেকে আসা কিট ত্রুটিপূর্ণ। তাই নমুনা পরীক্ষার ফল অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে দীর্ঘ টুইট করে স্বাস্থ্য দফতর। তাতে বলা হয়, গোড়ার দিকে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে সরাসরি যে টেস্ট কিট পাঠানো হচ্ছিল তাতে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু হালফিলে কলকাতা স্থিত আইসিএমআর-নাইসেডের মাধ্যমে সরকারি ল্যাবে টেস্ট কিট সরবরাহ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইসিএমআর-কে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।