NRC: অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দুদের স্থান দেওয়া হবে : কৈলাস বিজয়বর্গীয়
কৌলাশ বিজয়বর্গীয় (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর : বাংলায় NRC চালুর পক্ষে ফের জোর সওয়াল করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) । আজ কলকাতায় আসেন বিজেপি-র এই শীর্ষ নেতা। আর এসেই NRC ও যাদবপুর (jadavpur university) প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, কলকাতা বিমানবন্দরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে এদিন NRC প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা হলে তিনি বলেন "হ্যাঁ পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ NRC হবে। বিজেপি (BJP) রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে অনুপ্রবেশকারীদের এদেশ থেকে তাড়ানো হবে। পাশাপাশি পাকিস্তান (pakistan) ও বাংলাদেশে (bangladesh) যে অল্প সংখ্যক হিন্দু আছে তাদের দেশে স্থান দেওয়া হবে। খুব শিগগিরই সিটিজেনশিপ বিল আনা হবে। তারপর NRC হবে।"

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankhar) ও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব জারি রয়েছে। সেই প্রসঙ্গেও প্রতিক্রিয়া জানান বিজয়বর্গীয়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরকে সমর্থন করে তিনি বলেন, "রাজ্যপাল অভিজ্ঞ মানুষ। আইনজীবী। উনি জানেন আইন কী, নিয়ম কী, রাজ্যপালের মর্যদা কী, রাজ্য শাসনের দায়িত্ব কী।" আরও পড়ুন :  MiG-21 Aircraft Crashes: গোয়ালিয়রে ভেঙে পড়ল মিগ-২১, নিরাপদে দুই পাইলট

রাজ্যপাল নিরপেক্ষ নন বলে গতকালই তোপ দেগেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি (Partha Chatterjee)। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "রাজনৈতিকভাবে একপেশে মন্তব্য করছেন রাজ্যপাল ৷ সরকারি অফিসার ও সরকারি বিভাগের বিরুদ্ধে একপেশে কথা বলছেন জগদীপ ধনখর৷ সাংবিধানিক পদে থেকে সরকার এবং সরকারি কর্তাদের কাজে নাক গলানো এবং অপ্রয়োজনে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠা অভিপ্রেত নয়। সাংবিধানিক এক্তিয়ারের অপব্যবহার এবং প্রাত্যহিক রাজনৈতিক গিমিক রাজ্যপালের এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, তৃণমূল সরকার মানুষের সরকার তাই এই সরকার জানে কোনটা ঠিক, আর কোনটা নয়।"

পালটা পার্থ চ্যাটর্জিকেও আক্রমণ করে আজ কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "এখন পার্থ চ্যাটার্জিদের মতো ঢপের শঙ্খ মানুষ যদি বোঝাতে যায় যে রাজ্যপালের মর্যদা কী? তাহলে আমি মনে করি এর থেকে মজার আর কিছু নেই। পার্থ চ্যাটার্জি মন্ত্রী। তাঁকে তাঁর নিজের আওতাতেই থাকা দরকার। রাজ্যপালের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজের চরিত্র, ব্যবহার ও আক্কেলের উপর আঙুল তোলা উচিত। তারপর রাজ্যপালের দিকে আঙুল তোলা।"