কলকাতা, ৩১ মে: রবিবারের সকালে আকাশ কালো করে ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি (Rain)। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। এখনও আম্ফান তান্ডবের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা। এর পরেই প্রায় দু'বার ঝড়-ঝঞ্ঝার মুখে পড়ল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলি। রবিবার সকাল থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে আগেই জানিয়েছিল, হাওড়া , হুগলি, বর্ধমান, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই ৬ জেলায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা। বৃষ্টি হতে পারে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদেও।
শনিবার দুপুর থেকেই বিভিন্ন জেলায় ঝড় বৃষ্টি হয়। কলকাতায় বিকেলের দিকে মেঘলা আকাশ দেখা যায়, পাশাপাশি ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি কোচবিহারে ঝড় বৃষ্টি হবে। সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া। যার গতিবেগ থাকবে ৪০ থেকে ৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ওই সময়ে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আরও পড়ুন, ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ তারাপীঠ মন্দির
একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। এছাড়াও দক্ষিণা বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। এর প্রভাবেই রাজ্যে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। সন্ধের দিকেও বজ্রবিদ্যুত্সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সকাল থেকেই শহরের আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা যায়। তবে বৃষ্টি শেষে মেঘ কেটে এখন খানিকটা পরিষ্কার আকাশ। ঝড়-বৃষ্টির ফলে এবছর গ্রীষ্মের দাবদাহে জ্বলতে হয়নি বাংলাকে। যারফলে এবারের মতো রেহাই পেল বাংলা। আর কিছুদিনের মধ্যে বঙ্গে বর্ষা ঢোকার অপেক্ষা।